কলকল নদীর বহমানতায় কত শত আবর্জনা ভেসে যায় নিত্যদিন।হয়তো নিত্য পরিবর্তনশীল আমাদের এই জগৎ, যার সাথে সকল কিছুর পরিবর্তন ঘটে।কিন্তু মানবের মনের চিত্রপট কি ভিন্ন হয়।সত্যিই কি আমরা অন্ধকার রাস্তা থেকে বের হতে পেরেছি। উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় মাঝামাঝি অবস্থায় আছে মনের বাতায়ন।যে বাতায়নের আলোর কিরণকে গায়ে মেখেছে সে হয়তো জীবনের তরী দর্শন করেছে। আর যিনি কিরণ খানি পেয়েও মাখে নি তার বা তাদের জন্য সমাজ রসাতলে গিয়েছে।যে রাজা রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরের পদচিহ্ন অনুসরণ করে এগোচ্ছে সে প্রকৃত অর্থে বাস্তব অগ্রগতির ঢাল হতে পেরেছে।
অগ্রগতি তো হয়েই চলেছে কখনো সমাজের, কখনো দেশের আবার কখনোও বা মানবজাতির। তাতে কি মানুষের চিন্তা ধারার মূল গূঢ়তা পাল্টে গিয়েছে আপনাকে ধরুণ কিছু প্রশ্ন করলাম দয়া করে উত্তর গুলো ভেবে বলবেন।
ধরুন আপনার পাশের বাড়িতে নিম্ন মধ্যবিও পরিবারের এক মেয়ে অর্নাস মার্স্টরাস করা।যার বয়স সাতাঁশ বছর। কিন্তু বিয়ে হয়নি এবং কোন চাকরি ও পায়নি।এখন বলুন প্রথমেই আপনি কি বলবেন যে মেয়ের এতো বয়স তবুও বিয়ে হয়নি।হয়তো দেখতেও খুব একটা ভালো নয়।।আর মা বাবাও পড়া লেখা করাইসে না জানি কোন বিলাত ফেরত বানাইছে যে চাকরিজীবি ছাড়া বিয়া দিত না।ঢং থইতো জাগা পায় না।এবার ধরুন আপনার ঠিক বিপরীত পাশে এক মস্ত বাড়ি, সেই বাড়ির মালিকের মেয়ে যার বয়সও ধরুন সাতাঁশ।পড়াশোনাতেও অষ্টারম্ভা।বাপের টাকায় যতটুক হয়েছে আর কি।সেই মেয়েটিরও বিয়ে হয়নি।তো তার বেলায় আপনাদের মুখে এররকম শোনা যাবে যে বড়লোক বাপের ঝি হয়বোনে বিয়া।দিন কি গেছে গা।তার বাবা মাকেও হয়তো মিষ্টি মাখা স্বরে এই কথাগুলোই বলবেন।আর ঐ নিম্নমধ্যঘরের বাবা মাকে রাসভারি কথা বলবেন। এই না আমাদের উদ্ভাবনীয় অগ্রগতি।এবার আসি পাছে লোকে কিছু বলেতে,টাকা পয়সা না থাকাটা যে কোন অপরাধ নয় সেটা কয়জন বোঝে বলুন।আচ্ছা ধরুন রহিমা মধ্যবিও ঘরের বলে তার কোন বন্ধু বা বান্ধবী থাকতে নেই। বিশেষত ছেলে বন্ধু তো নয়।তাহলেতো হলই পুরো পাড়ায় যেন ডি ডি পরে গেল।তখন তো সবার মুখে বুলি ফুটবেচার আনার মুরাদ নাই তার আবার বয়ফ্রেন্ড।যাকে বলে রসের কী স্বর।কিন্তু অপরপক্ষে ধরুন তিন্নি বড়লোক বাবার কন্যা।তার তো ডানে বামে সর্বদিকে বন্ধু।তার বেলায় আর কি সেটাকে তখন বলা হয় আধুনিকতা।মেয়েটা অনেক চালু।কিন্তু আমার ভাষায় বলবো তারহীন সেতারা বটে।
যে সমাজকে ভেদাভেদ খুচিয়ে একদিন প্রতিষ্টা করেছিল রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগর মহাশয়।সেই সমাজকেই বরং চিরবসন পড়িয়ে দিয়েছে এই জলহস্তিগুলো। কাকের ন্যায় এই বাড়ি বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে সংসারের চিতা রচনা করে এই অসুরগুলো।যারা সত্যিই কারো সুখ ও প্রকৃত অর্থে চায় না আর দু:খ দেখলে টিপ্পনি কাটে।এরা এক কথায় অজাত শএু বটে। আর যারা মুখ বদ্ধ করে সহ্য করে তাদেরকে বলি হারি যায় এক একজন টলবেও না নড়বেও না।ঠাই বসো বসে কথা গিলবে আর আপসোসের যাএাপালা গাইবে।
কলমে পূজা রায়