আমার মা প্রতিদিন তার স্বাধীনতাকে সিদ্ধ
হতে দেখে ভাতের হাড়িতে,
আমার বাবার স্বাধীনতা বিক্রী হয়
পনেরো টাকা ডজনের কলা
দর কসাকসির দশ টাকায়।
আমার ঠাকুমাকে দেখেছি
স্বাধীনতাকে সখী বানিয়ে ভবঘুরে হতে।
আমার ছাত্রকে দেখি
প্রতিদিন তার বিকেলের স্বাধীনতাকে
ব্যাগে করে নিয়ে নিয়ে দ্রুত ছুটছে।
পাশের বাড়িতে পুটির স্বাধীনতা বড় হয়
দু’বেলা ভাত আর মাসিক পঞ্চাশ টাকায়।
কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির স্বাধীনতা
দু-ভাগ হয় পড়ে থাকে ভেড়ীর পাশে।
স্বাধীনতার কিল চড় ঘুসিতে
যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা প্রাপ্তি হয় আদর্শ শিক্ষকের।
স্বাধীনতাকে বাক্স বন্দী করে সহজেই
নীরবে নিভৃতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন স্বাধনীতার স্তম্ভরা।
ধর্মের বর্ম পরিয়ে কর্মটাকে অসুরক্ষিত করাও
এখনকার সময়ের অপরিহার্য স্বাধীনতা।
এখানে স্বাধীনতার কোনো অভাব নেই
এখানে নেই নেই চিৎকারটাই স্বভাব।
না থাকাটাও যে একটা মস্ত বড় স্বাধীনতা
সেটা যেদিন বুভুক্ষু মানুষগুলো বুঝে যাবে
সেদিন তারা সত্যি সত্যিই স্বাধীনতাকে ভোগ নয়
উপভোগ করতে শিখবে।
বিঃ দ্রঃ : কৃষ্ণ বর্মন এর প্রকাশিত কাব্যগ্রণ্থ “চোপ”‘-এখানে কথা বলা বারণ .
এই লেখকের আরো লেখা পড়তে কিক্ল করুন ক্ষুদিরামের-জন্ম এখনো-বাকি-নাগাসাকি বাইশে-শ্রাবণ কেন-রে-মেয়ে নারী-তুমি-প্রমান-দাও
অনবদ্য চয়ন, মুগ্ধতা একরাশ…মনোগ্রাহী লেখনীকে ধন্যবাদ, কিন্তু চাহিদা বাড়িয়ে দিলেন কবি…
ধন্যবাদ।চেষ্টা করব বন্ধু
ধন্যবাদ বন্ধু
[…] লেখকের আরো লেখা পড়তে কিক্ল করুন বুভুক্ষু-স্বাধীনতা ক্ষুদিরামের-জন্ম […]