সে আসে
সে রোজ আসে
শার্সি ভেদ করে আমার আরশির কাছে
আমার কামরার দ্বার ঠেলে আমার কাছে
রেখে যায় তার স্নিগ্ধ ললিত স্পর্শ—
এলোমেলো ছড়িয়ে থাকা
করবী গাছের বাতাসে উড়তে থাকা
খোলা পড়ে থাকা কোন আধ-পড়া কবিতার বইয়ের ভাঁজে
নয়ত
ডেস্কে পড়ে থাকা হিজিবিজি কাটা আমার গল্পের খাতার মাঝে…
সে আসে
সে রোজ আসে
প্রভাতে অরুণোদয়ের সাথে সাথে
দিনভর ঘোরে আমার আশেপাশে
ফিরে ফিরে দেখে আমার ডেস্কের দিকে—
আর বারে বারে প্রশ্ন করে- কী আছে ঐ রঙে মোড়ানো খাতার পাতায়?
ছুট্টে যাই! আঁকড়ে ধরি বুকের পশমে—
‘ওটা আমার— আমার সাজানো রঙের পাতা, ছড়ানো গল্পের খাতা’
উতলা হয়ে বলি-
‘ওতে আছে তার কথা- যে ফিরে ফিরে আসে রোজ প্রভাতে
রেখে যায় তার অতুল ভালোবাসা আমার লেখনির প্রাণে…’
কিন্তু
কথা ফুরোনোর আগেই
সে হারিয়ে যায় তিমিরের অসীম ব্যথায়…….
কবি পরিচিতি - কৃতিকা ব্যানার্জ্জী, জন্ম- ২০০২ সালের ভাদ্র মাসে আসানসোল
শহরে। "আসানসোল উমারানী গরাই মহিলা কল্যাণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়"-এর
কলা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। লেখায় মনোনিবেশ তেরো-চোদ্দ বছর বয়স থেকে
কিন্তু তখন কোনো লেখাই প্রকাশ করত না, নিজের মধ্যেই গোপন রাখত। প্রথম
লেখা প্রকাশ পায় স্কুল ম্যাগাজিনে "শরতের আগমন" কবিতা দিয়ে।
২০১৮ সালে ব্যাঙ্ক কর্তৃক আয়োজিত "প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায়" "প্রথম স্থান" অধিকার
করে এবং রাজ্য সরকার কর্তৃক আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় জেলা স্তরে
"পঞ্চম স্থান" অধিকার করে। তার কথায় 'সকলের ভালোবাসায়, প্রবাহমান নদীর ন্যায় লেখা চলতে থাকবে'..
Khub vlo…egia ja…pase amra Achi…khub vlo hoache tr lekha….r o notun kobita pbo.etai asa Kori…😄
বাঃ! চমৎকার লেখা হয়েছে। মন উজাড় করে লিখবে। মন যা চাইবে, যেভাবে চাইবে লিখবে। অনেক শুভেচ্ছা রইল….