মনের কথা সরল করে গল্প করে বলিই ফেলে
লাগতে পারে ভীষণ বোকা সস্তা কিংবা এলেবেলে।
ছন্দ আমার মেলে না, সেটা মিলবেও না কোন কালে
অন্ত্যমিলটা খুঁজতে গিয়ে কথাগুলো যায় হারিয়ে।
ওই যে দ্যাখো মাথার ওপর নীল আকাশের ওই চাঁদোয়া
অনন্ত ওই নীল সাগরে উড়ছে পাখি খসছে তারা।
আজকে একটা গল্প বলি, ছোট্ট একটি মেয়ের কথা
বোকা মেয়ের সখ গেছিল আস্ত একটা আকাশ হওয়া।
ভেবেছিল আকাশ থেকে খসে যখন পরবে তারা
তারাগুলো গেঁথে নিয়ে নিজের গলায় পরবে মালা।
যেতেও পারে চাঁদের দেশে চরকা বুড়ি কাটছে সুতো
মায়ের কাছে শুনেছিল চাঁদমামার গল্পগুলো।
কিংবা একটা পাখি হবে মেঘের ভেতর ডুবে গিয়ে
সাতরাজার সাতটি মানিক কুড়িয়ে নেবে তার আঁচলে।
মাঠের ওই প্রান্তশেষে যেথায় মেলে আকাশসীমা
সেইখানেতে বাঁধবে সে ঘর ,জোনাকপোকার বাস ঠিকানা।
ছোট্ট ঘরে রাখবে বেঁধে ছোট ছোট স্বপ্নগুলো
স্বপ্নে তার নয়নভরা আকাশজোড়া পেঁজা তুলো।
তুমি ভাবছ আমার কথা বলছি তোমায় গল্পচ্ছলে
সত্যি বলি নই সে আমি আকাশমনি অন্য সে মেয়ে।
বরফমোড়া গ্রামখানি তার সবুজ নরম ঘাসের চাদর
ডালের জলে ঝিকিমিকি সোনা রোদের মিষ্টি আদর।
আমি জানি ভাবছ তুমি আকাশ হওয়া হয়নি বোধহয়
চাঁদের বুড়ি হারিয়ে গ্যাছে, নতুন সখি তার অনাহার।
আকাশ তাকে হতেই হল, ডালের জল রক্তে রাঙা,
যখন এসে লাগল বুকে তীর নয় সে গুলির ডানা।
গনতন্ত্র কাকে বলে? কিবা ছিল মুক্তি জেহাদ ?
রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতির বাদপ্রতিবাদ।
অথবা ওই সেই মেয়েটি, গলির শেষে কোণের বাড়ি
আগুনে যখন জ্বলছিল সে, পুড়ছিল তার স্বপ্নখানি।
আকাশসীমায় বাঁধা ঘরে সুখের চাবি টাকায় কেনা
গল্পে তার নাম রেখেছি আকাশকুসুম হাসনুহানা।
আরো আছে
নয়নতারা, সন্ধ্যাতারা, রাতপদ্ম, গন্ধবকুল
এদের কথা খোদাই করা চোখের তলার ক্লান্ত কাজল।
রাত পদ্ম রাতে জাগে, বকুল ফুলের গন্ধ সোঁদা
সস্তা শাড়ীর নকশিকাঁথায় নখের আঁচড় জীবনগাঁথা।
এরা সবাই আকাশ হল চাঁদের দেশে দিল পাড়ি
চাঁদের আলো ছড়িয়ে গেলো তারায় মোড়া তাদের বাড়ি।
ঘুমভাঙ্গানির গান শোনাতে রাতপদ্ম জাগে রাতে
বকুল ফুল গন্ধ ছড়ায় মৌমাছিরা খেলায় মাতে
আমার কথা ফুরোলো, নটে গাছটি মুরোলো
আকাশমনি হাসনুহানার ঘুমে চোখ জুড়োলো।
কবি পরিচিতি :অদিতি দে, আমি অদিতি । আমি একজন গৃহবধু । এছাড়া আমার নিজের সম্পর্কে বলার কিছু নেই।
লেখিকার আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুন "প্রথম কথা"