আজ সারাট দিন সৃষ্টির হেয়ালীপনা হারিয়েছে
নীলিমা জুড়ে মেঘের খেয়াঘাটে।
শুনেছি কিশলয়ের ভীড়ে পড়ন্ত জীবন ধ্বনি,
পেয়েছি ঝিরিঝিরি পবনের জমে থাকা দীর্ঘঃশ্বাস;
পড়েছি অবলীলায় বৃষ্টির অসুখে।
কংক্রিটের ফিসফিসানী ঢাকা পরেছিলো
অক্লান্ত ধারার নিঃসীম ধারাবাহিকতায়।
টিপ টিপ টিপ টিপ কথা বলে আড়াল করা
প্রথম ভালবাসা; এদিকে অবসরের ফাঁকে
সাদা-কালো মনে প্রিয় রং চড়ায় আষাঢ়ে কল্পনা।
ভুবন জুড়ে মোহিনীর সাঁজ,
বর্ষার উৎসাহে উচ্ছ্বসিত পরিচিত উদাসিনতা।
সপ্রতিভ খুঁজে ফেরা চেনা সুবর্ণ স্মৃতিগাঁথা।
বেদনার স্বগতোক্তি একাকীত্ব আর নেশা ঘিরে,
নয়নে ছবি মুষলধারের; হৃদয়ে বিলাপ শূন্যতার;
অপারগতায় দুর্দশাগ্রস্ত, পাথেয় শুধু দৈন্য প্রেম।
ওদিকে দিন ফুরায়, চায়ের কাপের ধোয়ার উপর
জানালার ওপাশের পৃথিবীটাকে ঘোলা মনে হয়।
নীল আকাশে সাদা মেঘমালা তখনো ভাসে নির্লিপ্তে।
নীচে বন্যার অন্তরালে একঘেয়ের বিপরীত জীবন;
তীক্ততায় চির ছন্দবিহীন।
আর মনে জমে উঠে ঘরে থাকার উৎসব।
স্মৃতি রোমন্থনের পুরনো দৃশ্যগুলো ভেসে ওঠে
মনের পর্দায়, ভাবনার হাওয়াতে ভর করে
পাড়ি দেয় আষাঢ় পথ; খুঁজে নেয় শ্রাবণ মোহনা।
কবি পরিচিতি : আরণ্যক রাহাত
কবির কলম থেকে : শৈবালের গায়ে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের মত জীবনটাকে গুছিয়ে নেয়ার নিমিত্তে নিয়ত ছুটে চলতে চলতে দিন শেষে যখন নিজের জন্য কিছুটা সময় বেছে নেই তখন প্রিয় প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরে বেড়ানো, প্রিয় মানুষগুলোর হাসিমুখ আর কবিতা কড়চার মাঝে খুঁজে পাই নিজের ভালবাসার জায়গাটা।