তোমার অন্তরঙ্গতার ঔদ্ধত্য যখন
আমার ওষ্ঠ স্পর্শ করেছিলো;
তখন তোমার প্রাণের এক নিস্তব্দ শিহরণ
আমার সূক্ষ্ম শরীরের সমস্ত বিচলতাকে
কেমন যেনো শিথিল করে রেখেছিল!
হাজার বছরের সেই রুক্ষ ক্ষুধার্ত হাতগুলো
যখন-
হাতছানি দিতো আমার মধ্যবিত্ত যুবক চোখের দিকে,
তখন সেই হাতের তীব্র চাহিদাও
তোমার স্পর্শে কেমন যেনো নিস্তেজ হয়ে পড়তো!
তীব্র দাবদাহে,
তুমি আমার সারা শরীরে শান্ত ইছামতীর
শীতল পলি মাটি লেপে দিয়েছিলে,
তারপর কেটেছে শীতল শিথিল অগণিত বছর!
এখন প্রতিবছরই আমার শরীর জুড়ে কেবল খরা হয়
প্রখর রৌদ্রে-
ইছামতীর সেই ভিজে পলির প্রলেপ শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়।
আমার সারা শরীরের কোথাও আর এক চিলতে সবুজ নেই!
এই বিবর্ণতায়-
আমার সমস্ত দেহ মন
আরও একবার তোমার সূক্ষ্ম স্পর্শ পেতে চায়!
আরও একটা কবিতার জন্ম দিতে চায়।

কলমে সৌভিক সেনগুপ্ত, বসিরহাট, উত্তর চব্বিশ পরগনা
দু- লাইনের পরিচিতি: আমি ছাত্র।কয়েকটা ছাত্র পড়াই। কবিতা লিখে শান্তি পাই, মাথা ঠান্ডা হয়।
Warning: Attempt to read property "roles" on bool in /home3/weavesdi/public_html/www.monomousumi.com/bengali/wp-content/themes/morenews/inc/template-functions.php on line 941