জীর্ণ গাছটা এখনও আছে দাঁড়িয়ে
চারদিকে শীর্ণ ডালপালা ছড়িয়ে
শানবাঁধানো রাজপথে পাথরে পা ডুবিয়ে।
কঠিন মাটির বুক বিদীর্ণ করে গভীর থেকে গভীরে
রসদ সংগ্রহ করে মাটির ভিতরের খবর আনছে
শিকড়ের পর শিকড় ছড়িয়ে।
কে বলল তার দরকার গেছে ফুরিয়ে?
আজও ক্লান্ত পথিক ছায়া পায় তার তলে বসে
পাখিরা আজও বাসা বাঁধে তার জীর্ণ শাখে।
ঝড় ঝাপটা আটকায় এখনও বুক চিতিয়ে
কে বলল তার দরকার গেছে ফুরিয়ে?
বয়সের ভারে কুব্জ হয়েছে আজ
সারা শরীরে তার জীর্ণতার ছাপ
তবুও মানুষের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে
নিজের সমস্তটা অকৃপণ হস্তে।
তাও বলবে তার প্রয়োজন গেছে ফুরিয়ে?
কত ওঠা-পড়া দেখেছে নিজের চোখে
কত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নিজে।
কত সুখ দুঃখের কাহিনী রেখেছে ঢেকে
শত অত্যাচারের চিহ্ন গোপন করে
হাতছানি দিয়ে বলছে শাখা নেড়ে
‘ফুল দেব ফল দেব ,দেব আমি পাখির কুজন’
এরপরেও বলবে তার প্রয়োজন গেছে ফুরিয়ে?
কলমে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সিউড়ি,বীরভূম
Warning: Attempt to read property "roles" on bool in /home3/weavesdi/public_html/www.monomousumi.com/bengali/wp-content/themes/morenews/inc/template-functions.php on line 941
