জনমানবহীন কোলাহলমুক্ত নিঃস্তব্ধ নদীর বালুচরে
নিজেকে দায়িত্ব – কর্তব্যের বাঁধনমুক্ত করে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব চিন্তা – চেতনাগুলোকে
এক সুতোয় গাঁথতে বসেছিলাম সায়াহ্নের স্বল্প আলোকে।
কি চেয়েছি আর কি পেয়েছি মেলাতে পারিনি
যেমন বুঝিনি সন্ধ্যার পর কখন নেমেছে রজনী।
এক অপরিচিত কোকিলকন্ঠী আপন মনে
মধুর সুরে যেন গেয়ে যায় কানে কানে
সেই সুর ভেসে আসে বালুচর হতে দূরে
শুনি আমি তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো মনোযোগ সহকারে।
চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্নায় তাঁর মুখশ্রী ও চলার ভঙ্গি
সেই পটভূমিকায় সবই যেন স্বর্গীয় মায়াবী।
অপরিচিত হয়েও বন্ধু বলে সম্বোধন করে
বলেছিলো- ” এ মায়াবী রাতের স্মরণে একখানি কবিতা লেখো এবারে।”
সেই মায়াবিনীর ডাকে দিয়ে সাড়া
বালুচরে বসেই লিখলাম একটা চিরকুটে কবিতার খসড়া
হঠাৎই দখিনা বাতাসের দমকা হাওয়ায় উড়ে গেলো সেই চিরকুট
ধরতে পারলাম না কোনোমতেই তার পেছনে লাগাতার দিয়ে ছুট।
আজও সেই চিরকুট আমি খুঁজে খুঁজে বেড়াই
আজও সেই মায়াবী রাতের কবিতা রয়ে গেছে আমার না লেখাই।

কলমে অভীপ্সা সরকার, বালুরঘাট,  দঃ দিনাজপুর

কবিতা লিখতে প্রচন্ড ভালোবাসি…বড়ো হয়ে লেখিকা হতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here