মহালয়া, মহামারী মিলেমিশে একাকার–
তাড়াহুড়ো কিছু নেই, বাঁশে দড়ি বাঁধবার।
তিনদশ পাঁচদিন পরে উমা আসবে,
ছানাপোনা সাথে নিয়ে সেই হেমন্তে।
বিশ্ববাসী যে আজ মহামারী কবলে,
লাখে লাখে প্রাণ যায়, কোভিডের ছোবলে।
স্কুল, কলেজ খোলা নেই, অফিসে চাকরী নেই ,
পরিযায়ী শ্রমিকের রুজি রোজগার নেই ,
দিনমজুর শিশুটির পেটে একদানা নেই।
নেই, নেই কিছু নেই !
কাঠামোয় মাটি নেই, ঢাকের বাদ্যি নেই,
আলোকসজ্জা নেই, শারদোৎসব নেই,
তর্পণে গঙ্গায় মানুষের ভিড় নেই।
আছে শুধু মনে ভয়, প্রাণের সংশয়
আর আছে হাহাকার, চারিদিক ছাড়খার।
কবে যে কাটবে বন্দিত্ব?
আজ, বসুধার উমাদেরও ঘরে ফেরা বন্ধ।
ওরে, উমা আয় না, ডাকছে মা মেণকা
বুক চাপা কান্নায়! আগমনী গান গায়।
তবু, মহালয়া, মহামারী ঘিরে অমাবস্যা!
শিউলি ঘ্রাণে, বেদনার সুরে ভেসে চলে যায়
মনের মাঝের সব হতাশা!
আজ, হিমের পরশে ঝরা কাশ মায়ের আঁচল ভরায়
শারদীয়া তাই এসে পৌঁছায়, হেমন্তিকার আঙিনায়।।