ভালো লাগছে না লিখতে কিছু
তবুও লিখে চলছি
কাগের ঠ্যাং-ব্যাঙের মাথা
যা নই তাই বলছি।
চাইছি আমি চুপ থাকতে
চলছি তবু অনর্গল
মাথা আমার কাজ করে না
সম্ভবত হবু পাগল।
মাসের পর মাস, বছর পেরোয়
আমার বাপু এক-ই রুটিন
ভোর বেলাতে জলদি উঠে
বানাতে বসো স্কুল টিফিন।
মেয়ে খাওয়ানো স্কুলে পাঠানো
চা টা সারি দাঁড়িয়ে
দুটো কথা ন্যায্য বলি
বলি নাকো বাড়িয়ে।
এবার আসে বরের পালা
সাথে থাকে কাজের লোক
একজনকে অফিস পাঠিয়ে
তারপরে-তে আসন যোগ।
যোগাসনের পর বাড়ি ফিরেই
ল্যাপটপ এ তে ঘাড় গুঁজে
কমে ভিটামিন রক্তচাপ
কাজ চলছে মুখবুঁজে।
এরপরেতে মেয়ে ফিরলে
আহার সেরে ,এক্টিভিটি ক্লাস
মেয়ের বেশ মজায় লাগে
আমার বেরোয় রুদ্ধশ্বাস।
এর মাঝেই আবার বসি
লিখি পড়ি হিজিবিজি
আমার মতো লেখিকাদের
খুঁজে বেড়ায় , কাজও দি যে।
আমার ছোট কোম্পানিটি
এখন অনেক স্বপ দেখায়
আমার সাথে যুক্ত যারা
তারাই আমার সাথী সহায়।
সন্ধ্যেবেলা আবার এসে
রান্না করা- মেয়ে পড়ানো
তারপরে সময় খুঁজে
নিজের কাজে মন লাগানো।
দিন যে কখন ফুরিয়ে যায়
কখন নামে অন্ধকার
এমন কি আর কাজ আমার
সময়-হিসেব কি দরকার !
এমন করেই দিন চলে যায়
আমার মতো অনেক মেয়ের
কারোর একটু রোমাঞ্চকর
কারোর একটু একঘেঁয়ের।
তাই ,
চাইছি আমি চুপ থাকতে
চলছি তবু অনর্গল
মাথা আমার কাজ করে না
সম্ভবত হবু পাগল।
©মন_ও_মৌসুমী
©মৌসুমী