বল না দেবে কি?তোমার সেই কক্রানো গোলাপী সিক্ত ঠোঁটের আভা,
নিশ্চুপ নীলচে তল পড়া গালের পাশের চিবুক আঁকরে ধরা তিলটি,আমায় দেবে কি?
অগভীর সমুদ্রে গভীর নির্যাসের মত দুপ দিয়ে উঠে আসা সেই মায়া ভরা আঁখি,
রাতের ক্যানভাসে জেগে থাকা কোন নীলচে হলুদ ভোরের অচিন পাখি,দেবে গো আমায়?
দেবে আমায়, বুকের বা দিকে রাখা লাল বাদামি
মনটার ধুকপুকানি !
বা,না জমে থাকা একরাশ অভিমানের ইতিহাসের পাতা খুলে বিন্দু বিন্দু শরতের শিশিরভেজা সকালের হাতছানি,পাবো কি?
পাবো কি আমি,সেই ছিড়ে খুড়ে পুড়ে যাওয়া,খসে ঝরে যাওয়া আমার উষ্ণ ক্যানভাসে তোমার শীতল স্পর্শ ?
অজানা কোন সুদূর দিগন্তের বিস্তৃত হেমন্তের ক্লান্ত বাতাস আর
আকাশে মিট মিট করে জ্বলতে থাকা দুরপানের তারাগুলির তপ্ত শিহরণ,দেবে কি?
নাকি, আমার সেই অসমাপ্ত ক্যানভাসের পাশে রাখা কলমের নিবটি তে তোমায় পাবো খুঁজে?!
যখন সজ্জা পাবে সেই কলম ঈশান কোণের ঘরের বালিশের পাশে রাখা ডাইরির প্রত্যেকটি পাতার নির্মম আঘাতে!
শুনতে পাবে কি তুমি সেই মর্মর শব্দ?
যার চিরোরঞ্জিত সুরের গুঞ্জনে গুঞ্জনে নেশা পাবে আমার উন্মত্ত জীবনের ধারাপাত ,
সাথে বেজে উঠবে এক সুপ্ত ক্রন্দন ধ্বনি বীণার তারে তানে তানে,তার ঝলকানি।
বলনা,শুনবে কি তুমি সেই ধ্বনি?
নাকি আগের বারের মতোই আবার শুধু ছুয়ে দিয়ে চলে যাবে না রাখা বসন্তের শুকনো পাতার মতো!
কোথা হতে উরে আসা,না শেষ হওয়া কবিতার ধুলার মত,চলে যাবে?বল,চলে যাবে?আমায় ছেড়ে,আমাদের একটু একটু করে জমতে থাকা বাক্সবন্দী সে মধুচক্রের মনিকঠার ছায়া আর ফেলে রাখা ক্যানভাস, রঙিন স্বপ্ন আর সে ডাইরির ছেড়া পাতা!
যাও তবে,চলে যাও দূরে,বহু দূরে
যেখানে পৌঁছবে না আমাদের সে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া ভালোবাসার গন্ধ ,
পৌঁছবে না সে অভিমানের ইতিহাসের ছড়িয়ে রাখা প্রেমের দ্বন্দ্ব ,পৌঁছবে না কিছুই।
শুধু আফসোস একটাই রয়ে গেলো,
দিয়ে গেলে না সেই সিন্দুকের চাবি
যা দিয়ে খুলতাম তোমার আমার বন্দী হওয়া ,ধুলি পড়া সে স্মৃতির ডালি,
যা আজও আমার বাদিকের স্পন্দনে স্পন্দনে অসমাপ্ত রয়ে গেলো।
কলমে স্বাগত খাঁড়া