বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা এই মুহূর্তে এত উন্নত হয়ে উঠেছে যে পৃথিবী থেকে অলৌকিক গাঁজাখুরি গল্প কথা চিরদিনের মত বিদায় নিয়েছে। অনেকেই এমনটাই ভেবেছিলেন কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি।
রহস্য ঘনীভূত অঞ্চলটি অর্থাৎ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা কিছু করে উঠতে পারেনি। বারমুডা ট্রাঙ্গেল নামেই অচেনা অজানা বিভীষিকাকর শিহরণ জেগে ওঠে মানুষের মনে। মৃত্যু মুখর হিম অভিজ্ঞতা সেই সব।নাবিকেরা সেই জায়গাটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত তারা বলত ওখানে জলের নিচে একটা বিরাট দৈত্য বাস করে সে নাকি অসীম শক্তিশালী তারা কোনো জাহাজ ঠিক থাকতে পারেনা।
আবার, যখন পাইলটদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হতো তারাও এই আকাশ পথে কখনো বিমান উড়াতে চাইতোনা । কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে জেদ করেছে; কিন্তু পাইলটদের একই কথা – ওখানে গেলে স্মৃতিভ্রংশ হয়ে যায়। মা, বাবার নাম ভুলে যেতে হয় মনে হয় আমরা বুঝি অন্য কোন পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে গেছি।
শেষ অব্দি বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে একটা সম্মেলন ডেকে। ব্রাসেলস শহরে সেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে এমন কিছু মানুষ স্বীকারোক্তি করেছেন এই বিভীষিকাময় অঞ্চলটি নিয়ে। সেগুলো পড়লে সত্যি শিহরিত হয়ে উঠতে হয়।
এবার আমরা জেনে নেব কবে থেকে এবং তাদের মাধ্যমে বারমুডা ট্রাইঙ্গেল নামকরণ করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট লেখক ভিনসেন এইচ গ্যারিস এর কথা মাথায় আসে। তিনি ” মিষ্ট্রিয়াস ফারাস এন্ড লাইট” নামে একটি অসাধারণ বই লিখেছিলেন,এটি ছিল বেশ তথ্য সমৃদ্ধ। তিনিই প্রথম “বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল “নামকরণ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ডান দিকে অর্থাৎ পূর্ব দিকে পুরেটরিকো পর্যন্ত একটি কাল্পনিক লাইন টানা হলো । আরেকটি লাইন উপড়ে অর্থাৎ উত্তর দিকে বারমুডা পর্যন্ত বিস্তৃত হল । তিন নাম্বার লাইন টানা হলো বারমুডা থেকে নিচে পশ্চিম দিকে, এই লাইনটি শেষ হলো ফ্লোরিডা উপকূলে। এভাবে আমরা একটি কাল্পনিক ত্রিভুজ পেলাম। এটি হলো ওই অভিশপ্ত বারমুডা ট্রাঙ্গেল।
গ্যারিস পরবর্তীকালে বলেছেন যে এই নামটা দেওয়া উচিত হয়নি । ‘ফ্লাইং সসার’ নামটি যেমন ভ্রমণাত্মক। এই নামটি ও তেমনি ভ্রমের সৃষ্টি করে। কারণ যেসব দুর্ঘটনার কথা আমরা লিপিবদ্ধ করেছি তাদের সবকটি কিন্তু এই কাল্পনিক ত্রিভুজের মধ্যে সংঘটিত হয়নি। এর বাইরে ক্যারিবিয়ান সমুদ্র কিংবা অ্যাজোরস সমুদ্রেও ওই আপাত অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তাই এই এলাকাটিকে একটি ত্রিভুজ বলা উচিত নয়। এটি হলো একটি ট্রাপিজিয়াম অর্থাৎ এমন একটি চতুষ্কোন যার চারটি বাহু কখনোই সমান নয়।
১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে “আরগ্রসি” নামক একটি পত্রিকাতে গ্যা রিস একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন । এই প্রবন্ধে তিনি প্রথম “বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল” নামকরণটি ব্যবহার করেন।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের সূত্রপাত হয়েছিল ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে । তখন পৃথিবীতে কলম্বাসের জয় জয়কার। বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন যে এই ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের বয়স আরো অনেক বেশি। হঠাৎ করে কোনো একটা অঞ্চলে এমন অলৌকিক আচরণ করতে পারে না, যদি অঞ্চলের ভৌগলিক পরিসীমার মধ্যে সত্যি সত্যি কোন বিষয় লুকিয়ে থাকে তাহলে তার বয়স কয়েক হাজার বছরের কম হবে না। অর্থাৎ যখন থেকে মানুষ এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে শুরু করেছে তখন থেকেই সে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছে।
কলম্বাস তখনও আমেরিকা আবিষ্কার করেন নি। এর আগেই জাহাজের নাবিকেরা সারগাসো সাগরে বিচিত্র প্রকৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে ওঠে । মাঝে মাঝে তারা দেখতে পায় দূর সমুদ্রে হঠাৎ আগুনের গোলা উঠছে। তার থেকে নানান রঙের ছটা বিস্ফোরিত হচ্ছে। রাতের আকাশ উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছে, ধীরে ধীরে সেই অগ্নিগোলক এর আকার বাড়তে থাকে সেটা এক জায়গায় স্থির না থেকে ধীরে ধীরে ডাইনে-বাঁয়ে আন্দোলিত হতে থাকে। কিছুক্ষণ বাদে অগ্নিগোলক নিভে যায় তার আর কোন চিহ্ন থাকে না রাতের পরিবেশে তখন শুধুই ঘনীভূত অন্ধকার।
আবার অনেক সময় দেখা যায় একটি মানুষের অবয়ব,হাতে মোমবাতি নিয়ে এসে নাবিকদের ভয় দেখাচ্ছে । অর্থাৎ সংকেত চিহ্ন দেখাচ্ছে। তাই সারগাসর সমুদ্রে চট করে কোন নাবিক যেতে চাইত না।
কলম্বাসের নাবিকেরা ও ওই অঞ্চলে অভিযান করতে চায়নি। তারা রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল সুতরাং আমরা ধরে নিতে পারি যে তখন থেকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে আমরা অবহিত ছিলাম।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে মানুষের অভিজ্ঞতা বরাবরই খুবই ভয়ঙ্কর এই ব্যাপারে লিপিবদ্ধ বিবরণ অষ্টাদশ শতকের আগে চোখে পড়েনি। মধ্যযুগের কিছু অতি উৎসাহী মানুষ প্রাণের তাগিদে নীল সমুদ্রে জাহাজ ভাসিয়ে দিলেন । তারা নীলসাগরের ডাকে সাড়া দিয়ে একটির পর একটি নতুন অঞ্চলে অভিযান করেছিলেন। তাদের কেউ কেউ এই রহস্যময় ত্রিভুজ অঞ্চলে প্রবেশ করেন,বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়। স্মৃতিকথা লেখার মত সুযোগ পাননি। তবুও ভাগ্যক্রমে যারা ফিরে এসেছিলেন তাদের বক্তব্য,কিংবা ভাষণে স্পষ্ট বুঝতে পারা যায় ওখানে একটা ভীতি বিহ্বল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ওই অঞ্চলে একটা অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণে ডাক দেয়। তবুও মানুষ এই ডাকের উপেক্ষা করতে পারে না।
তখন থেকেই অঞ্চলটি সম্পর্কে নানা গুজব ছড়িয়ে গেল । সকলেই এই অঞ্চলটি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলো। তারই মধ্যে অতি উৎসাহী দু-একজন ইচ্ছে করেই এই অঞ্চলে যেতেন। কুসস্কারকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে তাই ছিল তাদের একমাত্র ব্রত। তাদের অভিজ্ঞতা ও কিন্তু খুব একটা সুখদায়ক ছিল না ।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে প্রথম লিপিবদ্ধ বিবরণ পাওয়া যায় ১৮০০ সালে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এখানে এমন অনেক ঘটনা ঘটে গেছে যা বাস্তবিক পথে আমাদের শিহরিত ও স্তব্ধ করে দেয়।
আসুন আমরা ধারাবাহিকভাবে তেমন কিছু ঘটনার উল্লেখ করে তাহলে বোঝা যাবে কেন এখনো পর্যন্ত এই অঞ্চলটিকে আমরা অমীমাংসিত রহস্যের কেন্দ্র হিসেবে মনে করছি।
প্রথমেই ১৮০০ সালের কথা বলব। আমেরিকার ডিলওয়ে নিউক্যাসেল বন্দর থেকে একটি জাহাজ শুভযাত্রা শুরু করেছে। এই জাহাজটির নাম ইউ এস স্পিকারিং। গন্তব্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুয়া ডেলুক বন্দর। জাহাজটি ঠিক মতো এগিয়ে চলছিল। আকাশের কোথাও ঝড়ের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা ছিল না । সাগর শান্ত ছিল যেমনটা হয়ে থাকে। নব্বই জন আরোহী এবং নাবিক সহ জাহাজটি একেবারে নিখোঁজ হয়ে যায়। যদিও তখনকার দিনে বিজ্ঞানের অভিযাত্রা খুব একটা উন্নত ছিল না । তা সত্ত্বেও তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখা হয় জাহাজটির কোন ভগ্নাবশেষ অথবা নাবিকদের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়নি। বোঝা গেল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এ জাহাজটিকে গ্রাস করেছে।
এর পরের ঘটনা ঘটে ১৮১৪ সালে ইউ এস এস ওয়াস্পা নামে একটি জাহাজ সমুদ্রে ভাসে। জাহাজের গন্তব্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ । এই জাহাজে ১৪০ জন যাত্রী ছিল। ৯ই অক্টোবর পর্যন্ত অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে । ১০ অক্টোবর সকাল বেলা এই জাহাজটি অলৌকিক ভাবে হারিয়ে যায়। বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করা হয় । উপকূলরক্ষীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে কিন্তু কি আশ্চর্য জাহাজের কোন চিহ্ন পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এবার ১৮২৪ সালের কথা বলি। কিউবা থেকে টমসন আইল্যান্ডে চলেছে ইউ এস এম ওয়াইল্ড ক্যাট অর্থাৎ,বুনো বিড়াল নামে জাহাজটি।এই জাহাজটি খুবই শক্তপোক্ত একাধিকবার সমুদ্র অভিযানে অংশ নিয়েছে ঝড়ের মোকাবেলা করেছে। সাহসের সঙ্গে এই জাহাজে ১৪ জন নাবিক ছিল। ২৮ শে অক্টোবর তাঁর হারিয়ে গেল, আবার শুরু হল অন্বেষণের পালা। আগের দুবারের মত একই ঘটনা ঘটল জাহাজ অথবা তার যাত্রীদের কোন চিহ্ন পাওয়া গেল না। এই তিনটি ঘটনাতে বিভিন্ন দেশের টনক নড়ে গেল তারা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন নীতি প্রবর্তন করলো তারা ঘোষণা করল এখন থেকে যেসব জাহাজ ওই অঞ্চলে যাবে তাদের ওপর কঠিন নজর রাখতে হবে । কোনো জাহাজ নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে রেস্কিউ টিম পাঠাতে হবে এভাবে আমরা ভাগ্যের হাতে মার খাবো না।
তা সত্বেও কিন্তু বিপর্যয় আটকানো সম্ভব হয়নি। ১৮৪০ সালে রজিলি নামে একটি ফরাসি জাহাজ চলেছে হাভানা বন্দরের দিকে । জাহাজে বেশ কয়েকজন নাবিক ছিল হঠাৎ একদিন সকালে দেখা গেল এই নাবিকরা সবাই অদৃশ্য হয়ে গেছে অথচ জাহাজটি ডুবে যায় নি। একা একা চলেছে খাঁচার ভেতরে একটা অভুক্ত ক্যানারি পাখি উড়ার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনাতে রেসকিউ দল একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিল এখনো পর্যন্ত এই অঞ্চলে যেসমস্ত অঘটন ঘটে গেছে সেখানে জাহাজ শুধু নাবিকরা অদৃশ্য হয়ে গেছে । এই প্রথম জাহাজটাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল অথচ যাদের কোনো সমাধান নেই।
আবারও শুরু হলো শলা-পরামর্শ বোঝা গেল এই অঞ্চলের সমুদ্রে সত্যি সত্যি একটা অচেনা রহস্য লুকিয়ে আছে। তখন থেকেই ওই অঞ্চলটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু বাস্তবে তা করা কি সম্ভব? এই বিশাল জলরাশি অগ্রাহ্য করে চলা যায় কি? তাই ঠিক করা হল তখন থেকে আরও সাবধানে পা রাখতে হবে। বিপদের সামান্য চিহ্নও দেখামাত্র সব জায়গায় সংকেত পাঠাতে হবে।
১৯১৮ সালে একই ভাবে কোন চিহ্ন না রেখেই হারিয়ে যায় ইউ এস সাইক্লোপস। ব্রাজিল গামী সেই জাহাজটি মার্কিন সরকার কর্তৃক ব্রিটিশদের সাহায্য করতে দেওয়া হয়েছিল ,প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে । মার্চের 4 তারিখে সেটিকে শেষ দেখা যায় বার্বাডোজের তীরে। ৩০৬ জন ক্রু সেইসাথে উধাও।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে হারিয়ে যাওয়া সবচেয়ে আলোচিত হলো ফ্লাইট নাইন্টিন। ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর মার্কিন নেভির ৫ সেনা এভেঞ্জার টর্পেডো বম্বর্স একটি রুটিন মিশনে বের হয় । লেফটেন্যান্ট চার্লস টেইলর নিয়মিত কথা বলছিলেন রেডিওতে। কিন্তু হঠাৎ কথার মাঝেই সব চুপ হয়ে যায়। এমন নয় যে ঝিরঝিরে বা অস্পষ্ট হয়ে গেল। একদম নেই হয়ে গেল। আর কোনদিন সেই পাঁচ বিমানের খোঁজ পাওয়া যায়নি । সেই বিমানগুলোকে উদ্ধার করতে পাঠানো বিমানগুলো ফেরেনি কোনদিন । আর সেই জায়গাটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।
লিখতে থাকলে এরকম আরো অনেক লেখা যাবে কিন্তু সবগুলি কাহিনী সত্যতা আসলে নেই। তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য ভেদ করতে চেয়েছেন অনেকেই । কেউ কেউ দিয়েছেন আজব সব থিওরি। যেমন কেউ কেউ বলেছেন এখানে নাকি শয়তানের আস্তানা। শয়তান টেনে নিয়ে যায় এইসব জাহাজ ও বিমান। কেউ কেউ বলেন এখানে আসলে এলিয়েনদের বেসক্যাম্প আছে।
এখানে ঢুকলে কম্পাস অদ্ভুত আচরণ করে কেন সেটার যুক্তি দেওয়া হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের । কেউ বলেছেন এখানে আসলে হারানো আটলান্টিজ শহর আছে জলের তলদেশে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চেষ্টা করেছে এর রহস্য সমাধানের। ২০০৬ সালের ৪ মার্চ প্রকাশিত তাদের আর্টিকেল অনুযায়ী ৭৫ টি বিমান আর প্রায় ৩০০ জাহাজ হারিয়ে গেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন মানুষের ভুলে অথবা দুর্ভাগ্যের কারণ এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের উপর ভিত্তি করে প্রচুর ব্যবসা চালানো হয়েছে ও হচ্ছে । এটা নিয়ে মিডিয়া প্রচুর অর্থ উপার্জন করে এটি মিথ্যা প্রমাণ করলে আসলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর এজন্য গুজব আরো ফুলে ফেঁপে উঠছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন আসলে প্রতিদিন অনেক জাহাজ ও ফ্লাইট যায় আমেরিকা-ইউরোপ ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে । বেশি সংখ্যক চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাও হয় বেশি । এর সাথে ব ট্রায়াঙ্গেলের কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়াও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতো আরেকটি জায়গা হল “ড্রাগন্স ট্রায়াঙ্গেল” ।
একটি মজার ব্যাপার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কিত প্রথম লিখিত ঘটনা। পঞ্চদশ শতকে যখন ক্রিস্টোফার কলম্বাস ইউরোপ থেকে আমেরিকায় যান তখন তার জার্নালে তিনি লিখেছিলেন বর্তমান বারমুন্ডা ট্রাইংগেল যখন পার হচ্ছিলেন তখন তার কম্পাসের কাঁটা ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিল। সেখানে তিনি নাকি অদ্ভুত আলো দেখেছিলেন । কিন্তু তার নিজের ও জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি।তবে কি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কোন রহস্য নেই ? আছে বটে কয়েকটি ঘটনার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তা সত্য , যদি কোনো রহস্য নাও থাকে তবুও অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রহস্যের খোরাক হিসেবে মানুষের খোরাক জুগিয়ে গেছে জলজ ত্রিভুজ।