ছুটির আমেজ। দিনটি ছিল এক রথের দিন। মঠ, তেলেভাজা, ফুলের মালা, রথ সাজানো ,টানা সব নিয়ে এক হৈ হৈ রব চারিদিকে। হঠাৎ ই কিছু পাখির কলতান কানে ভেসে এলো। এদিক ওদিক তাকিয়েও কিছু দেখতে পেলো না সৌমী। দোতলার জানলা দিয়ে নীচে তাকাতেই চোখ গেল ঋদ্ধিদের বাড়ির পাতকোতলা তে। ওখানেই চোখে পড়লো কিছু ছোট্ট ছোট্ট পাখি, যারা বড়সরো খাঁচা তে বন্দী। দেখে খুব খুশী হলো সে,,,কৌতূহলী পায়ে একছুটে পৌঁছে গেল খাঁচার সামনে। খুব ভালোলাগলো পাখি গুলো কে, বন্ধু হয়ে গেল ওরা সৌমীর। রোজ স্কুল যাওয়ার সময়, স্কুল থেকে ফেরার পর ওদের সাথে কত গল্প করতো সে। এইভাবে চললো বেশ কিছুদিন। ওদের সাথে কথা বলতে বলতে সে ওদের ভাষা বুঝতে পারতো। একদিন স্কুল থেকে ফিরে অভ্যেস বসত ওদের কাছে গিয়ে দেখে ওরা চুপচাপ। সৌমী একটু অবাক হয়ে যায় ।ও নাম ধরে ডাকতেই খাঁচার সামনে এলো পাখিটা। চোখের দিকে তাকাতেই মনে হয়েছিল কিছু বলতে চায় সৌমী কে, জানি না সেদিন সেই ছোট্ট মেয়েটার কি হয়েছিল, সে পাখিটার চোখের দিকে দেখে দুচোখের কোনে দুটো মুক্ত জ্বলজ্বল করছে । ছোট্ট পাখিটার চোখের দিকে তাকাতেই মনে হয়েছিল কিছু বলতে চায় তাকে। এক অজানা কষ্ট তাকে ঘিরে ধরলো । কিছু না ভেবেই সৌমী খাঁচা খুলে উড়িয়ে দিলো সেই ছোট্ট পাখি গুলো কে। মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি আর ভালোলাগা ছিল সেই মুহূর্তে। পাখিগুলো কে ডানা মেলে উড়তে দেখে খুব আনন্দ হয়েছিল তার। পরে সবাই জানতে পেরে খুব বকেছিল সৌমী কে। কিন্তু তার বাবার মুখে এক অন্যরকম ভালোলাগা ছিল , যা সবার চোখ এড়িয়ে সৌমীর চোখে পড়েছিল। যা সারাজীবন সে ভুলতে পারবে না।।
### দীপিতা চ্যাটার্জী ###
Beautiful
সৌমী সেদিন উপলব্ধি করলো স্বাধীনতার মানে।….সুন্দর উপস্থাপনা।
শুভেচ্ছা বন্ধু।