নিলয় আজ অনেক ব্যস্ত। অনেকদিন পর সবাই মিলে ঠিক করেছে খেলতে যাবে। বয়স গড়িয়ে মোটামোটি সবারই ২৫ পেরিয়েছে। কপালে নতুন করে ভাজ পড়তে শুরু করেছে। সবার যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তবে আজ একটু প্রশান্তি মিলেছে। সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে যেন বেলা ৪টার ভিতরে মাঠে উপস্থিত থাকে। একদিনের এই আয়োজনের জন্য ব্যাট বলও কেনা হয়েছে। আগে কিভাবে এই ১৫টাকার বলকে ১০টাকা দিয়ে কেনার জন্য কিলোমিটার খানেক হেটে আনতো এই কথা নিয়ে বেশ আড্ডা জমেছিল। তারেকের কাছে সেই এলাকার বাচ্চা ছেলেপুলেদের পিটিয়ে মাঠ দখল করা স্ট্যাপ ৩টি এখনও আছে। আজকে এই ম্যাচ খেলে এটাকে জাদুঘরে রাখার প্রস্তাবে কেও দ্বিমত পোষণ করেনি। নিলয়, শাফকাতকে কল করলো। এই ছেলেটা মাঠে সবার পরে আসে। এটাকে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। রিং বেজে যাচ্ছে, কোনো খবর নেই। মনে হয় এই ছেলেটা আর শোধরাবে না। ইতিমধ্যে আজিম ফোন করলো, নিলয় রিসিভ করে জানালো যে সে ৫ মিনিটের ভিতরে নামছে।
নিলয়ঃ কিরে, রাফি কোথায় রে?
আজিমঃ উনার খাওয়া হয়নি। তাই আমাকে একা পাঠিয়ে দিল। তা তোর দায়িত্বের আসামি কোথায়?
নিলয়ঃ কোথায় আবার হবেন। ফোন ধরছে না একদম। আমি আর পোন দিচ্ছি না এনাকে। দেখগে ফোন বন্ধ করে আবার আগের মত ঘুমাচ্ছে। এই সরকারি চাকরিজীবিদের এই এক সমস্যা।
কমবেশি সবাই ৪.৩০ এর মধ্যে মাঠে এসে হাজির হলো। তারেকের পিছু পিছু শাফকাতকেও দেখা গেল ভাঙা স্ট্যাপটাকে ঘুরাতে ঘুরাতে নিয়ে আসছে। সবার মনে উৎফুল্লে ভরে উঠল। খেলা হবে, বলে সবাই সরগোল পাকিয়ে দিলো। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এরা ৩ বছর পর আবার একসাথে খেলতে নেমেছে। কারও মেদ বেড়ে গেছে। জিশানের তো অনেকখানি চুল ঝরে গেছে। তবে আজ এসবের বাধা নেই। প্রিপান্ত যেই না মাঠে স্ট্যাপটা গাড়তে গেল ওই বৃষ্টি পড়া শুরু হলো। সবাই গ্যালারির দিকে দৌড় দিলো। ইমন বেচারা পুরো ভিজে গেল। ওজন কমানোর তাড়না আবার নতুন করে তার মনে জেগে উঠলো।
ধ্রুবঃ এই ভাদ্র মাসেও বৃষ্টি? এটা কি করে হয়?
জিশানঃ আরে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফল এগুলো। আরো বাহ বা দাও। বলো দেশের উন্নতি হচ্ছে। এর মধ্যে যে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে বারবার, তার খবর আছে? যে ঘটনাগুলো নাকি ১০০ বছরে একবার ঘটে, তা কয়েক বছর পর পরই দেখা দিচ্ছে।
ইমরানঃ বৈশ্বিক জিনিসটা কিরে?
ধ্রুবঃ আরে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং। গ্রিন হাউস এফেক্টের নাম শুনো কি বোধ হয়?
ইমরানঃ ও হ্যা, বুঝেছি। ভাদ্র মাসে বৃষ্টির সাথে এটার সম্পর্ক নেই। ভাদ্র মাসে বৃষ্টি এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। কত ভিজেছি ভাদ্র মাসে।
জিসানঃ যখন দেশ ডুববে তখন বুঝবে আরকি। আর্কটিক মহাসাগর, এন্টার্টিকা মহাদেশের বরফগুলো গলতে শুরু করেছে। আগামী ৫০ বছরে দেখবে সাগরের পানিতে অর্ধেক দেশ ডুবেছে।
ইমরানঃ যেটা হবার পরে দেখা যাবে। এত আষারে গল্প শুনতে ভালো লাগে না আমার।
নিলয়ঃ আচ্ছা, কাল সকালে চল না আবার খেলতে আসি। সকার আটটার ভিতর ফিরতে পারলেই তো হলো, তাই না?
হাসানঃ মাঠ কি তোমার একা দাদার যে চাইলে আর এসে খেলে দিয়ে গেলে।
জিশানঃ খেলা যাবে না মানে? সরকারি মাঠ কে আটকাবে?
হাসান আর ইয়ামান বাদে সবাই মোটামোটি প্রতিবাদ জানালো। তবে এরা দুইজন যখন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে থাকলো, তখন প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি তাদের চোখে বেশি জলে উঠলো। হাসান প্রতিদিনই মাঠে খেলতে আসে। ইয়ামানও অনেকটা এমনই। সময় পেলে খেলতে চলে আসে। তবে গেল বছরের মধ্যে অনেক মাঠ বন্ধ করে ক্রিড়া ক্লাব তৈরি করা হয়েছে এবং উন্মক্ত উদ্যানগুলোকে ব্যবসার কেন্দ্রস্থল করে ফেলা হয়েছে। ছোটখাটো যে মাঠ রয়েছে, সেখানে বাজার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের মাঠগুলোতে আগে যেমন ছুটির দিনে সবাই খেলতে পারতো, তা এখন আর হয় না। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সময়ে সময়ে খেলতে পারেনা। ছুটির দিনগুলোতে এই মাঠকে বানানো হয় বিয়ে বাড়ির কমিউনিটি সেন্টার। আর পুরো সপ্তাহজুরে এই বাশ, বাশের জন্য খোরা গর্তগুলো জায়গা মত পড়ে রয়।
হাসানঃ মনে আছে আমরা কিভাবে পি.টি. এর পরে স্কুল প্রাঙ্গনে দাড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, যাতে আমাদের মাঠটা কে এভাবে ধংস্ব করা না হয়। পুরো আধা ঘন্টা দাড়িয়ে ছিলাম।
শাফকাতঃ তা আর বলতে! যখন হেড স্যার এসে আমাদের দাবি মেনে নিলেন তখনকার উল্লাসের কথা কি ভুলে যাবার রে?
নিলয়ঃ আমাদের এলাকার মাঠটাতেও দেখলাম যে কি জানি কাজ করছে।
সিফাতঃ এটাকেও ক্লাব বানাবে। ছোট-খাটো স্কুল পর্যায়ের লিগ খেলাবে। দেখিস নি ঘাস উঠানোর চেষ্টা করছে।
নিলয়ঃ এটাও কি লালবাগের মাঠের মতো করে ফেলবে নাকি?
ইয়ামানঃ আগে তো অনেকগুলো পার্কেও খেলতে পারতাম। সরকার তাও বন্ধ করে দিচ্ছে। বল কিভাবে খেলবো আমরা? আগামী ৫ বছরের মধ্যে কি জনসাধারনের মাঠ বলে কোনো জিনিসও থাকবে?
জিশানঃ এই জন্যেই তো এই প্রজন্মের শিশুরা মোবাইলের দিকে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আমি যে কয়টা ছাত্র পড়াই সবকটার একই দশা। ওদের বাবা-মা না পারতে আমার কাছে বিচার দেয়। আমাকে দোষারোপ করে আমি বাসায় কি পড়া দেই সারাক্ষণ মোবাইল টেপে তাদের সন্তান।
ইয়ামানঃ (হাসতে হাসতে) তুই কি স্যারের কেটাগরিতে পরিস নাকি?
সবাই হাসতে লাগলো। বৃষ্টি আরো জোরে নামতে লাগলো। মাঠের মধ্যে পানি নিয়ম বেধে কিছু জায়গা ফাকঁ রেখে রেখে জমাট বেধেছে। সময়টার দিকে কারো তেমন মাথা ব্যাথা নেই। সন্ধ্যা হতে বোধহয় আর বেশি বাকি নেই। এখন চা হলে বেশ হতো।
ধ্রুবঃ আচ্ছা শাফকাত তুই তো সরকারি লোক তাই না? এই যে খেলার জন্য মাঠ খুজে পাচ্ছি না আমরা, তোর সোনামনিরা ভবিষ্যতে এই পৃথিবীতে এসে খেলার মাঠের মুখ দেখতে পারবে না, তুই কি এর জন্য কোনোদিন প্রতিবাদ করেছিস?
শাফকাতঃ দাদা সতেরো হাজার টাকা মাইনে পাওয়া সাধারণ চাকরিজীবি। আমার কথা কেও শোনবে? বল পাত্তা দেবে?
সিফাতঃ ঠিকই তো। ওর মুরুদ অফিসে বসে কাজ করা অবধিই সিমাবদ্ধ। ওকে দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এমন একজনকে ধরতে হবে যে কিনা কাজের কাজ করতে পারে।
নিলয়ঃ কাউন্সিলরের কাছে গেলে কেমন হয়? এলাকার মাঠ থেকে শুরু করি আমরা। আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলরটা বেশ ভালো।
আরিফঃ আমার মাথা ভালো মানুষ। রাজনীতি কি বুঝো? এই যে মাঠটার কাজ ধরেছে কত টাকা সরকার থেকে নিয়েছে জানো? কাউন্সিলর কত টাকা আত্মসাধ করেছে, জানো? এসেছেন ভালো মানুষের কাছে যেয়ে আবদার করবেন আর উনি কোটি টাকার প্রোজেক্ট জলে ভাসিয়ে দিবেন। এই সাদা-মাটা জীবন থেকে বের হো এবার। মানুষকে যাচাই করতে শিখ এবার।
বৃষ্টি কিছুটা থেমেছে। তবে কারোও জায়গা থেকে নড়াচড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আরিফ রাজনীতি করে না ঠিকই তবে তার অনেক জ্ঞান আছে এ সম্পর্কে। সিফাতও একি ধাচেঁরই। ইয়ামানও টুকটাক ধারনা রাখে এইসব বিষয় নিয়ে। তবে জুন আর নিলয় এসব ব্যাপারে উদাসিন।
হাসানঃ আমার চাচার বন্ধু হচ্ছে কাউন্সিলরের আপন চাচাতো ভাই, তোরা কি ভেবেছিস আমি চাচ্চুকে বলি নি এই মাঠের কথা। মোটা অঙ্কের মামলা আছে এখানে।
হৃদয়ঃ আরে সরকারের কিছু করার থাকলে অনেক আগেই করতো। তোরা কি খবর দেখিস নাকি? কত সাংবাদিক রির্পোট করেছে। কত টিভিতে দেখিয়েছে। একজন তো কাউন্সিলরকেই প্রশ্ন করে বসেছিল। সে আর কি কান্ড।
নিলয়ঃ আমি শুধু একটা কথা বললাম আর তোরা এত বড় মিটিং বাধিয়ে ফেললি! কিন্তু কেও একবারো বললি না যে চল গিয়ে দরখাস্ত দেই?
হাসানঃ আরে দাদা আপনাকে কি বললাম আমি? আমার চাচ্চুই পারে নি কিছু করতে আমরা কি করবো বলো?
জিশানঃ আর এই দরখাস্ত দিয়ে কি লাভ যা কখনও খোলা হবে না? দরখাস্ত দিয়ে কি বুঝাবো? আমরা সমাজের কথা ভাবি তাই এই উদ্যেগ নিয়েছি? আরো দু-চারটা চিঠিকে ধুলায় মাখামাখি করতে পাঠিয়ে দিয়েছি?
ইমরানঃ সরকার এসব নিয়ে পরে থাকে না, বুঝলি? আমাদের মতো আরো অনেকে আছে চায়ের দোকানে বসে সরকারকে গালমন্দ করছে, তাতে সরকারের কিছু হবে? হবে না। সবচেয়ে ভালো হবে যে যার মতো থাকি। এতকিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর কি আছে? সরকার যাদের টাকা দিচ্ছে মাথা ঘামানোর তারা ঘামাক না।
রাত ৯টা বেজে গেছে। সবাই আস্তে আস্তে বাসার দিকে রওনা দিতে লাগলো। আবার আগামী সপ্তাহে খেলতে আসবে সবাই। নিলয়ের বাসা সবার থেকে দূরে। তার বাসায় যেতে যেতে ১০টা বেজে গেলো। কাল সকাল থেকে আবার অফিস। এই আজকের ঘটনা কি মনে থাকবে? ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে পোস্ট করলে কেমন হয়? কাজে আসবে কোনো? ফেসবুকেও তো দুই হাজারের উপরে ফ্রেন্ড আছে। ওরা সবাইও কি ভীত? আচ্ছা, মন্ত্রনালয়ে নোটিশ পাঠালে কেমন হয়? কোনো কি উত্তর পাওয়া যাবে? এইসব চিন্তা মাথায় নিয়ে সে গোসল সারলো। খাবার না খেয়ে মোবাইল নিয়ে বসলো। কয়েকটা জনপ্রিয় গ্রুপ খুজে খুজে বের করে ওখানে পোস্ট করলো। ভাবলো সারারাত কমেন্টের উত্তর দিয়ে কাটাবে। তবে আহামরি কিছু ঘটল না। সে হতাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তার বন্ধুরাই ঠিক বলেছে। যেখানে বিপদ, সেখানে পাগলও যায় না।
সকাল বেলা অফিসে গিয়ে নিলয়ের আবার আশার সঞ্চয় হলো। তার কলিগেরা তার একটি পোস্ট পড়েছেন। তারা বেশিরভাগই ত্রিশ উর্ধ বয়সী। সবারই সন্তান আছে। তারা এর মর্ম বোঝেন। সালাউদ্দিন সাহেবের জোশ একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। তার বাসায় দুইটি ছেলে সন্তান। তার স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে দুই ভাই কাড়াকাড়ি করে গেমস খেলে আর মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেলে ঘরকে লন্ডভন্ড করে রেখে দেয়। ম্যানেজার অন্জন দত্তেরও বাসায় একি হাল। খেলার পার্ক বা মাঠ হলে বাচ্চাদেরকে বিকেল বেলা ঘুরতে নিয়ে গেলে এরা আর তেমন জ্বালাতন করে না। তারা সবাই ঠিক করেছে মন্ত্রনালয়ে দরখাস্থ সুপারিশ করবেন। নিলয়ের কাছে এখন কিভাবে এগোতে হবে এটার কনসেপ্ট টা পরিষ্কার হয়ে গেলো। সে তার আশেপাশের মাঝবয়সী লোকদেরকে খুজতে লাগলো। যারা নাকি বোঝে এবং বাচ্চাদের এই ক্ষতি দেখতে চায় না। এবার তার পোস্টের ধরনও বদলালো। আগে যা ছিলো পুরোনো স্মৃতি বিজরিত, এখন তাতে বর্তমানের পরিস্থিতি যুক্ত হয়েছে। মানুষের সাড়াও জেগেছে। একটা নতুন গ্রুপও তৈরি হলো। সবাই একটা দিন ঠিক করলো। প্রায় আঠারো হাজার মানুষ মিলে ঠিক করলো যে সরকারি ওয়েবপেইজে দরখাস্ত করবে। সরকার না দেখে যাবে কোথায় এটাই সবার ধারণা। দিনটিকে সবাই নাম দিলো জাজমেন্ট ডে। দেখতে দেখতে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৫ হাজার অতিক্রম করে ফেললো। আর মাত্র দুই দিন বাকি। নিলয়রা সবাই খেলা শেষ করে আবার গ্যালারিতে মিটিং বসালো। এবার কারো মনে কোনো সংশয় নেই। তারা এখন সেই ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া যুবক, যারা স্কুলের মাঠে না খেলতে পেরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।
শনিবার বেলা ৪টায় সবাই যে যার কর্মস্থল থেকে নালিশের আবেদন করতে থাকলো। মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে সার্ভার ডাউন হয়ে গেলো। সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে এমনিতেও ট্রাফিক অনেক থাকে। এর উপর এই চাপ নিতে পারলো না। রাস্তার মধ্যে মিছিল নামলো। টানা ৩দিন সরকারি ওয়েবসাইটির সার্ভার ডাউন ছিলো। মেয়রেরা এসে শান্তনা দিতে লাগলো, তবে এখন আর ঠেকায় কে জনগণকে। লক্ষ তাদের একটাই। আবার সেই সোনালী বিকেলে মাঠের ধুলো উরুক। আবার ওই মাঠে মাঠে নতুন খেলোয়ার হওয়ার সপ্ন দেখুক সাধারণ ছেলেরা। আবার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মাঠের কোলাহোল যেন মানুষকে তার শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিক। যেন তাদের সন্তান খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে মোবাইলের গেমস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। সবার একটাই আশা আবারো বিকেল হবে।
He meet me in the blue “s”ky
“ঐ জানালার পাশে দাড়িয়ে যাতে আকাশ আমি না দেখি
এই করি মিনতি হে রব তোমায়।
আমায় আমার শৈশবটাকে পার করতে দিয়ো
ঐ শুকনো ঘাসে, বালুময় মাঠে, সপ্ন দেখে দেখে।
আমি এর চেয়ে বেশি আর কি চাইতে পারি?
যদি তুমি প্রতিশ্রুতি দাও আমায় বিকেলের অরন্যে গা হেলিয়ে ঘুমোতে দিবে।”
ইশান (কলমী নাম), ২৩বছর, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
আমার নাম ইশান। আমি এখন ডিপ্লোমা করছি। নিজের লেখাকে একটা প্রোফেশনে তৈরি করার ইচ্ছাটাই প্রবল। বাকিটা খোদা ভালো জানেন।