হে বিশ্বকবি,
সারাবিশ্বে ছড়ানো রয়েছে তোমার প্রতিচ্ছবি।
তুমি বরণীয়, তুমি স্মরণীয়,
তোমার অকুণ্ঠ দান, এই পৃথিবীতে অতুলনীয়।
রবির কিরণে আলোকিত হয় সারাটি জগৎময়,
তোমার কিরণে জাগ্রত হয় প্রতিটি মানব হৃদয়।
তোমার সে আলো যায় না চোখে তে দেখা,
হৃদয়ের পটে গোপন কালিতে শুধু যায় তাতে লেখা।
নাই কোনো তেজ, নাই কোন দ্বেষ এই পৃথিবীর মাঝে,
বিলিয়ে দিয়েছে সারাটি জীবন পরোপকারের কাজে।
হে কবি, তুমি যেন সেই পূর্নিমার চন্দ্রাকিত আলো,
মলিন পরশে দূর করিয়াছো তব হৃদয়ের কালো।
তোমার আলোতে পূর্ণ আমরা ধন্য মোদের জীবন,
বহু সাধনার সিদ্ধির ফলে পেয়েছি অমৃত ধন।
হে মহাসাগর, তোমার অথৈ জলে,
তৃষ্ণা আমরা নিবারণ করি জ্ঞানের বক্ষতলে।
হে স্বর্গীয় নার্গিস-
তোমার সৌরভ বিকশিত আজ সারা বিশ্বের মাঝে,
মধুপান করে বিচরণ করি আমরা ভ্রমর সেজে।
হে মহা শান্তির নায়ক-
শত্রুকে তুমি করেছ মিত্র বিদ্রোহ করেছ দমন,
শান্তির পথ সৃষ্টি করিয়া করেছো সে পথে গমন।
ধন্য মানুষ ধন্য জীবন পেয়ে শান্তির বাণী,
গর্বিত আজ তোমাকে নিয়ে সারা বিশ্ব খানি।
হে স্বর্গীয় দেব-
যদিও আজকে বঞ্চিত মোরা তোমার মিলন মাঝে,
চিরজীবনের স্মৃতিপটে লিখে রেখে গেছো প্রতি কাজে।
পৃথিবীর রবে যতকাল রূপ থাকিবে তোমার স্মৃতি,
তোমারি সে জ্ঞান তোমারই আলো সৃষ্টি সকল কৃত্তি।
হে মহাকবি, হে মহা জ্ঞানী, জয় হে মনস্কাম,
তোমার চরণে কোটি কোটি বার জানাই মোদের প্রণাম।