প্রতীকের সাথে ১ম পরিচয় কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন।বেশ হাসিখুশি স্বভাবের একটা ছেলে।কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালাম, হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো বলে উঠল কেমন আছ।সামান্য একটু ঘুরে পেছনে তাকাতেই দেখি কালো করে একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে উঠল আমি প্রতীক।আমিও আমার নাম বলে করমর্দন করলাম।প্রথমেই আলাপেই বেশ জমে উঠল।
এর ২ দিন পরই কলেজ হোস্টেলে উঠার সময় আবার দেখা হয়ে গেল প্রতীকের সাথে।সে আমার পাশের রুমেই উঠেছিল।প্রায় প্রতিদিনই আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতাম।এভাবেই দু’জনের বন্ধুত বেশ গাঢ় হয়ে উঠলো।
বাবা-মা ছেড়ে ঢাকায় পড়তে আসায় সবই মূলত মা-বাবার কথা মনে করে অনেক দুঃখ প্রকাশ করত।কিন্তু উদ্ভুত বিষয় হল আমাদের কোন আড্ডাতে যখন বাবা-মায়ের কথা উঠত তখন সে যেন নীরব হয়ে যেত।তখনও ভালোভাবে বুঝতে পারিনি প্রতীকের এই নীরবতার কারনটা কি।
একদিন জিজ্ঞেস করে বসলাম তোর বাসায় কে কে আছে।তখনই জানতে পারলাম আসল কাহিনীটা।প্রতীকের মা বেঁচে নেই।তার বয়স যখন ৪ বছর তখন তার মা ডাক্তারের এক ভুল চিকিৎসার কারনে মারা যায়।
তার ছোট ভাইয়ের বয়স তখন ছিল মাএ ২ বছর।তাদের কথা চিন্তা করেই প্রতীকের বাবা আর বিয়ে করেন নাই।নিজেই কষ্ট করে লালনপালন করতে লাগলেন দুই সন্তানকে।
তখনই বুঝতে পারলাম প্রতীকের দুঃখ আসলে কোথায়।এত ছোট বয়সে মাকে হারানো যে কতটা বেদনাদায়ক তা হয়ত প্রতীকে দেখে বুঝা যায়না।কিন্তু তার সাথে ঐদিন কথা বলে যা জানতে পারলাম তা এখনও আমার হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।
লেখক পরিচিতি : মাহাদী হাছান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ,বয়স-২৩ বছর
বিঃ দ্রঃ কবিতাটি মন_ও_মৌসুমী র #ত্রিমাসিক_লেখা_প্রতিযোগিতার (জানুয়ারি ,২০১৯) এর একটি Entry .
ফলপ্রকাশ জানুয়ারি ,২০১৯ এর দ্বিতীয় সপ্তাহ , পড়তে থাকুন -যোগাযোগ বজায় রাখুন #মন_ও_মৌসুমী র ওয়েবসাইট এর সাথে।
[…] কে প্রতিবন্ধী!! চোখ-গেলো বেলা শেষে প্রতীকের দুঃখ| অনুগল্প জীবনের গল্প নির্জনে একলা […]