Background Photo Source : Google
২০১৩ সালের মহাভারত টেলিভিশন সিরিজ সত্যিই মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো । ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে ১৬ ই আগস্ট ২০১৪ অবধি সময়সীমা ধরে স্বস্তিক প্রোডাকশন পরিচালিত এই টিভি সিরিজটি খাওয়া-নাওয়া ছেড়েই দেখতে বসে যেতাম। ব্যাসদেবের মহাভারতের ভিত্তিতে সিদ্ধার্থ আনন্দ কুমার এই পৌরাণিক কাহিনীর প্রতিটি চরিত্র অসামান্য শৈলীর সাথে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন। অজয় অতুল তার সংগীত প্রতিভার পূর্ণ সাক্ষর রাখেন মহাভারতের অসাধারণ থিম মিউজিক নির্মাণ করেন। ইন্ডিয়ান টেলিভিশন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড এ বেস্ট মাইথোলজিকাল সিরিয়াল হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয় টিভি সিরিজটি। সৌরভ রাজ জৈন শ্রী কৃষ্ণের চরিত্রে অসামান্য অভিনয়ে করেছেন এই টিভি সিরিজ টিতে। অর্জুন হিসাবে শাহির শেখ ও দ্রৌপদীর ভূমিকায় পূজা শর্মাও অনবদ্য অভিনয় করেছেন।
যোগমায়ার কুলকুন্ডলিনী হতে উদ্ভূত নারীশক্তি যে কতটা শক্তিশালী, মহাভারতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। গল্পের শুরু হয় হস্তিনাপুরের রাজা শ্রদ্ধেয় শান্তনু ও গঙ্গা পুত্র ভীষ্মের ব্রহ্মজ্ঞানের পথে ব্রতী হয়ে অবিবাহিত জীবনযাপন করার শপথ গ্রহণ দিয়ে। ভীষ্মের শপথ গ্রহণের উপর আস্থা রেখে সত্যবতী মহারাজ শান্তনুকে বিবাহ করেন। তাদের দুই সন্তান বিচিত্রবীর্য ও চিত্রাঙ্গদা স্বল্প আয়ু প্রাপ্ত হওয়ায় ও ভীষ্মের ভীষণ প্রতিজ্ঞায় কুরুবংশের নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে মহারাজা শান্তনু সত্যবতীকে বংশের কূলপ্রদীপ ও হস্তিনাপুরের সিংহাসনের উত্তরাধিকার রক্ষার্থে সত্যবতীর কানীন পূত্র ব্যাসদেবের সাহায্য নিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে অম্বিকা ও ব্যাসদেবের সন্তান ধৃতরাষ্ট্র এবং অম্বালিকা ও ব্যাসদেবের সন্তান পান্ডুর জন্ম হয়। ব্যাসদেব পরাশ্রমী নামক এক দাসী সাথে মিলিত হলে তার গর্ভে জন্ম নেয় হস্তিনাপুরের ভাবী মহামন্ত্রী বিদূর। ধৃতরাষ্ট্র বিবাহযোগ্য হলে ভীষ্ম গান্ধর্ব্য রাজ্যের রাজকন্যা গান্ধারীর সাথে তার বিবাহ স্থির করেন। গান্ধারীর ভ্রাতা শকুনি এই প্রস্তাবে বেজায় ক্ষিপ্ত হন, কারণ কোনো জন্মান্ধ লোকের সাথে তিনি তার ভগিনীর বিবাহ দিতে নারাজ। পান্ডু যদুবংশের রাজা শূরশেনের কন্যা কুন্তীকে ও মদ্র রাজ্যের রাজকন্যা মাদ্রীকে বিবাহ করেন। কুন্তী মহর্ষি দুর্বাসার বরপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি নিজের ইচ্ছামত পছন্দের দেবতাদের মন্ত্রের মাধ্যমে আহ্বান করে পুত্রসন্তান প্রাপ্ত হওয়ার বর লাভ করেছিলেন। যমরাজকে আহ্বান করে যুধিষ্ঠির, পবনদেবকে আহ্বান করে ভীম ও দেবরাজ ইন্দ্রকে আহ্বান করে তিনি অর্জুনকে পুত্র হিসেবে লাভ করেন। অপরদিকে গান্ধারী ১৮ মাস গর্ভবতী থাকার পর এক মাংসপিণ্ডের জন্ম দেন । বেদব্যাস সেই মাংসপিণ্ডের ১০১ টুকরো করলে ধৃতরাষ্ট্রের ১০০ পুত্র ও ১ টি কন্যার জন্ম হয়। মাদ্রীও বরদানস্বরূপ দুই যমজ পুত্রসন্তান প্রাপ্ত হন অশ্বিনীকুমারের থেকে। কৌরব ও পান্ডবরা গুরু দ্রোণাচার্যের আশ্রমে ব্রহ্মচর্য কাল অতিবাহিত করে। যদিও কৌরবদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দুর্যোধন তার মামা শকুনীর কুশিক্ষায় অজ্ঞানতার আধারে ক্রমশ কুবুদ্ধিসম্পন্ন অসহনশীল ও তামসিক ভাবপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে। কৌরবরা পান্ডবদের সাথে একের পর এক অন্যায় করতে থাকে শকুনির পরিচালনায়। কিন্তু জগতের প্রভু যাদের সহায় তাদের হানি তো এত সহজে সম্ভব নয়। দ্রোণাচার্যের আশ্রমে শিক্ষা লাভ করে পূর্ণবয়স্ক যুবক হয়ে কৌরব ও পান্ডবরা হস্তিনাপুরে ফেরে। সেখানে আয়োজিত এক ঘরোয়া অস্ত্র শৈলী প্রদর্শন প্রতিযোগিতায় অর্জুন তাঁর অসামান্য ধনুর্বিদ্যা প্রদর্শন করতে থাকে। কিন্তু, হঠাৎই কবচকুন্ডলধারী সূর্যের তেজে তেজস্বী এক দিব্যপুরুষ অর্জুনকে তাঁর সাথে যুদ্ধ করার আহ্বান জানান। রাজমাতা কুন্তী তাঁকে দেখেই চিনে ফেলেন। বিবাহের পূর্বে সূর্যদেবকে কামনা করে সূর্যপুত্র কর্ণের জন্ম দেন তিনি, কিন্তু তার প্রতিপালন হয় জনৈক সূতবংশে। দুর্যোধন শত্রু শত্রুকে বন্ধু বানানোর লোভে কর্ণকে অঙ্গরাজ্যের রাজা ঘোষণা করেন। এরপরই গল্পে পরমব্রহ্ম শ্রী কৃষ্ণ প্রবেশ করেন। সম্পর্কে অর্জুনের পিসতুত দাদা হলেও ক্রমে তিনি অর্জুনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠেন। এরপর পান্ডবদের জীবনে কাল নেমে আসে যখন মোম ও লাক্ষা দ্বারা নির্মিত যতুগৃহে কৌরবরা তাঁদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। তাঁরা কৌরবদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে গা ঢাকা দেয় ও ব্রাহ্মণবেশ ধারণ করে। অপরদিকে, ধ্রুপদ দ্রোণাচার্যকে বধ করার মনোবাঞ্ছা নিয়ে পুত্র কামনাস্বরূপ বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করেন। যজ্ঞবেদী থেকে পুত্র দৃষ্টদু্ম্ন ও পরমাসুন্দরী অগ্নিকন্যা দ্রৌপদীর জন্ম হয়। কৃষ্ণের সাথেও এইকালে দ্রৌপদীর পরিচয় ও বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। দ্রৌপদীর সয়ংম্বর সভায় বিভিন্ন রাজ্যের রাজকুমারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সমস্ত ক্ষত্রিয়রা ব্যর্থ হলে ব্রাহ্মণবেশী অর্জুন মৎস্যচক্ষু ভেদ করে নিজেকে দ্রৌপদীর উপযুক্ত প্রমাণ করেন। সূতপুত্র হিসাবে পরিচিত কর্ণকে, দ্রৌপদী পূর্বেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বাধাদান করে। দ্রৌপদীকে নিয়ে কুটিরশালায় উপস্থিত হয়ে অর্জুন মাতা কুন্তীকে বলে “দেখ মা, আজ তোমার জন্য কি ভিক্ষা এনেছি”। কুন্তী প্রতুত্তর করেন ” যা এনেছে তা তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নাও”। এই কথার প্রেক্ষিতে ও শ্রী কৃষ্ণের মধ্যস্থতায় ঘটে যায় পঞ্চপাণ্ডবের সাথে দ্রৌপদীর বিবাহ। ইন্দ্রদেবের সাহচর্যে ও স্বয়ং বিশ্বকর্মার কৃপায় ইতিমধ্যেই তক্ষককে দমন করে স্বপ্নপুরী ইন্দ্রপ্রস্থ গড়ে তোলে পান্ডবরা।
বিবাহের পর পাশা খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয় পান্ডবদের। সেই সভায় শকুনি ছলের দ্বারা পান্ডবদের সমস্ত রাজ্যপাট কেড়ে তাদের শূন্যহস্ত করে ছাড়ে। শেষে যুধিষ্ঠির নিজের সকল ভ্রাতাদের, স্বয়ং নিজেকে ও নিজ স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি রাখেন ও সর্বহারা হয়ে দুর্যোধনের দাসে পরিণত হন। দ্রৌপদীর কেশ ধরে টানতে টানতে তাকে সভায় নিয়ে আসে দুঃশাসন। অনেক কাকুতি মিনতি করার পর, অনেক রকমভাবে বোঝাবার পরও পাষন্ড দুর্যোধন নিজের নোংরা লিপ্সা চরিতার্থ করার জন্য দ্রৌপদীকে বিবস্ত্র করার আদেশ দেয় দুঃশাসনকে। নির্বাক ও অসহায় দ্রৌপদী দুহাত জোড় করে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে থাকেন ও শ্রী কৃষ্ণ সুদীর্ঘ কাপড়ের যোগান দিয়ে দ্রৌপদীকে বিবস্ত্র হওয়ার থেকে উদ্ধার করেন। দ্রৌপদীর তেজে সমস্ত সভা দুর্বল হয়ে পড়ে। রক্তচক্ষু তাম্রবর্ণা অগ্নিকন্যা এই না অগ্নিস্নান করে নেন। ভয় পেয়ে অর্জুন তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এই অধর্মী সভা থেকেই জন্ম নেয় প্রতিশোধের আগুনস্বরূপ যুদ্ধের পরিকল্পনা। মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রের আদেশে পঞ্চপাণ্ডব দ্রৌপদীসহ ১৪ বৎসর বনবাস ও এক বৎসর অজ্ঞাত বাসে গমন করেন। এই সুদীর্ঘ বছরে কঠিন তপস্যা করে পঞ্চপাণ্ডব নিজেদের আরো শক্তিশালী করে তোলেন। অর্জুন শিবের থেকে পাশুপতাস্ত্র ও অন্যান্য দেবতাদের থেকে বিভিন্ন রকম দিব্যঅস্ত্র অর্জন করেন। আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভার মতো রোষানলে জ্বলছে যুদ্ধের জন্য তারা। শ্রী কৃষ্ণ পান্ডবদের তরফে শান্তির দূত হয়ে ৫ টি গ্রাম ভিক্ষা করেন মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রের কাছে, কিন্তু মূর্খ দুর্যোধন বলে ” বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী”। অবশেষে কুরুক্ষেত্র সমরসাজে সজ্জিত হয়। অর্জুন নিজের আত্মীয়দের সাথে যুদ্ধ করতে কুণ্ঠা বোধ করলে শ্রী কৃষ্ণ তাঁকে আত্মার প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করেন। সেই গীতাজ্ঞানই সমগ্র জগতবাসী ৭০০ টি শ্লোক ও ১৮ টি অধ্যায় বিভক্ত গীতা থেকে পেতে পারেন। অর্জুন শ্রী কৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন করে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রভুর চরণতলে সমর্পণ করেন। যে যুদ্ধে স্বয়ং পূর্ণব্রহ্ম কৌন্তেয় অর্জুনের রথের সারথি, সেই যুদ্ধে তো পান্ডবদের জয় অনিবার্য ও নির্ধারিত। জগতের প্রভুর মহিমা তো জগতের সকল মনুষ্যের দেখা, পড়া, বোঝা ও বিশ্লেষণ করা উচিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অধর্মের বিরুদ্ধে হওয়া এই ধর্মযুদ্ধে পান্ডবরা বিজয়ী হন।
সমগ্র মানবসম্প্রদায়ের প্রতি গীতার অন্যতম প্রধান বার্তা হিসাবে বলা যায় যে, সমাজে যখন দুরাচারী, ব্যাভিচারী, নাস্তিক, পাপী ও অন্তঃসারশূন্য মানুষদের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ভগবতপ্রেমী, ধর্মাত্মা, সদাচারী ও অসহায় মানুষদের উপর তাদের অত্যাচারের মাত্রা সীমা লঙ্ঘন করে যায় , তখনই তাঁর আবির্ভাব ঘটে। প্রকৃতপক্ষে তাঁর সৃষ্টি ও ধংস কোনোটাই সম্ভব নয়। কারণ তিনি স্বয়ং বলেছেন ‘আমি জন্মহীন, অব্যয় আত্মা, সর্বভূতের ঈশ্বর, শাসক, স্রষ্টা, নিয়ামক হয়েও নিজ অনির্বচনীয়া মায়াশক্তিতে আশ্রয় করে আত্মমায়ায় জন্মগ্রহণ করি (দেহ ধারণ করি)।’ আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে যোগাযোগের প্রধান অন্তরায় হল ইন্দ্রিয়-বিশিষ্ট ও মন-বিশিষ্ট এই দেহ। যদি আমরা নিজেদের মন ও ইন্দ্রিয়-যুক্ত না ভাবি, তবে দুঃখ-কষ্ট, অজ্ঞানতা ও জরা কোনোকিছুই আমাদের আত্মাকে কোনোরূপে প্রভাবিত করতে পারবে না। জন্মের পর শৈশব, কৈশোর, বৃদ্ধি, পরিণতি এবং ক্রমশ হ্রাস প্রাপ্তি ও ক্ষয় , অবশেষে মৃত্যু। এগুলি জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায়। এই পর্যায়গুলো দুইরকম ভাবে আত্মার গতি ও শক্তিশালীকরণকে প্রভাবিত করতে পারে। একপ্রকার মানুষ নিজের কামনা-বাসনা পরিতৃপ্তির জন্য সর্বদাই জড়- ঐশ্বর্য বৃদ্ধির দিকে ধাবিত হন। আর একপ্রকার মানুষ নিজেকে পরমব্রহ্মের অংশরূপে জানার জন্য আত্মার মধ্যে অন্তর্হিত শক্তিকে জাগ্রত করার চেষ্টায় অবলীলায় সাধনার পথ বেছে নেন। কখনো বিচার করে দেখবেন, কে সুখ-দুঃখ ভোগ করছে?
যারা আলোর সন্ধানী নয় তারা তো অন্ধকারকে ভয় করবেই। পাপবোধ অর্থাৎ অধর্মের সমীকরণের অসমতা ও তা সমাধান করতে না পারার ভয়ই অন্ধকার। ভোগের স্পৃহাই আপনাকে ভোক্তা করে তোলে। যতক্ষণই দেহ, মন তথা ইন্দ্রিয় দ্বারা পরিচালিত হবে, ততক্ষণই ক্ষয় ও ভয়ে জর্জরিত হয়ে জীবন কাটবে। আসলে, আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই, জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, তাই দেহান্তরপ্রাপ্তি ঘটে। কিন্তু, আত্মার কোনোরূপ বিকাশ তথা আত্মিক উন্নতি সাধন ঘটে না। ভক্তের গুরুর প্রতি , স্ত্রীর স্বামীর প্রতি, ছাত্রের শিক্ষকের প্রতি সমর্পণ মানে দেহের মাধ্যমে সমর্পণের আধার খুঁজতে চাওয়া। প্রতিটি সমর্পণই নিজগুনে উত্তম। কিন্তু ভাবুন , যার প্রতি নিজেকে সমর্পণ করছেন সে নিজেই যদি অধর্মী, চেতনাহীন, দাম্ভিক ও কুটিল হয়, তাহলে আপনার তার প্রতি সমর্পন কখনোই আপনার আত্মাকে আলোকিত করতে পারবে না। মহাভারতে কর্ণের প্রধান ভুল ছিল দুরাত্মা দূর্যোধনের প্রতি নিজেকে পূর্ণ সমর্পণ করা। সেভাবেই যদি অর্জুনের কথা বিচার করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে, তিনি যখনই পূর্ণব্রহ্ম শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিজেকে পূর্ণ সমর্পণ করেছেন, তখনই তিনি যুদ্ধে জিতে গেছেন। আমাদের সকলের আত্মাই সেই এক ও অভিন্ন পূর্ণব্রহ্মের অংশবিশেষ। বাহ্যিক জগতে রক্ত-মাংসের শরীর নিয়ে জন্মে সেই আত্মাই নানান কর্মের মাধ্যমে নিজেকে পরমব্রহ্ম তথা আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। দেহবোধ, আমিবোধ ক্রমাগতই আত্মাকে পরমাত্মা থেকে দূরে ঠেলে দেয়। আত্মিক উন্নতিকরণের জন্য মহাভারত টিভি সিরিজটি (২০১৩) সর্বদাই জনসাধারণের অন্তরাত্মাকে জাগ্রত করার ও তাদের পরমাত্মামুখী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ করে তোলায় অনিবার্য, তাই এটি সেরার সেরা হয়েই থেকে যাবে।
কলমে রশ্মি ভট্টাচার্য্য, ভবানীপুর, কলকাতা
পেশায় একজন প্রাণীবিদ্যার গবেষক। বর্তমানে জুলজিকাল সার্ভে অব্ ইন্ডিয়ার ডিপ্টেরা সেকসানে ফরেনসিক এন্টোমোলজি নিয়ে গবেষণারত। পি. এইচ. ডি – এর কাজে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে চারুচন্দ্র ও বঙ্গবাসী কলেজে প্রাণীবিদ্যার অতিথি অধ্যাপিকা ছিলাম। তাছাড়া , আধ্যাত্মিক প্রভাবক হিসাবে নিজের ব্লগে লিখি (Spiritual words by RB) । ছোটবেলা থেকেই আমার লেখালেখির নেশা প্রবল।
Warning: Attempt to read property "roles" on bool in /home3/weavesdi/public_html/www.monomousumi.com/bengali/wp-content/themes/morenews/inc/template-functions.php on line 941