Photo By Chiranjib Chakroborty
তুমি তখন,আদুল গায়ের
ইজের পড়া সুন্দরী।
লোকে বলতো, অমুক বাবুর
ওই মেয়েটা বান্দরী।
জানো,আমি তখন কেমন
যেন,দুঃখ পেতাম মনে,
পাবোনা কেন?তুমি যে আমার
খেল্লাবাটি র কোনে।
তুমি তখন একটু বড়ো
বয়স নয় কি দশ,
একটু চাপা রঙের জন্যে
করিনি আফসোস।
বরণ যখন চোখ বেকিয়ে
আনতে বলতে পিয়ারা।
পৃথীরাজ ছুটে যেতো, নিয়ে
ভূতের মতো চেহারা।
পিয়ারা পেয়ে মুচকি হেসে,
কামড় দিতে যখন।
মনে আমার উঠতো যে ঝড়
জয়ী রাজার মতো।
তুমি তখন আরও বড়ো,
পাড়া কাঁপানো সুন্দরী।
বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি,
নচিকেতার গান ধরি।
পড়া সেরে, একলা পথে,
ফিরতে তুমি একটু রাতে,
ঠিক জানতে আছি আমি
পুরোনো সাইকেল সাথে।
এখন তুমি অনেক বড়ো,
কলেজ হলো শেষ।
সাথী খুঁজতে খবর গেল
দেশ থেকে বিদেশ।
এই সময় এ এক দিনে তে
হাতটা আমার নিয়ে হাতে,
বললে তুমি আমায় নিয়ে,
স্বপ্ন দেখো বেশ——-
আনন্দেতে, ঘুমের দফা
সেদিন হলো শেষ।।।।
আমি তখন চাকরী করি
আবগারি র দপ্তরে।
যা কিছু পাই, তাতেই চালাই
মাসের শেষে ধার করে।।
বড়ো দেরই কথার মাঝে,
তোমার বাবার কথার ঝাঁঝে।
আমার বাবার হলো অপমান
গাঁ শুদ্ধু সবার মাঝে।।
এ দিকে তে, আমার তখন,
মন উড়েছে ঘুড়ির মতন,
মনে মনে তোকে নিয়ে
হচ্ছি নিরুদ্দেশ।
ঠিক তখনই বাজের মতন,
হলো প্রেমে ছন্দপতন,
বাবার মুখে শুনতে হলো,
বুকভাঙ্গা সেই আদেশ।
আদেশ হলো আজি যেন ,
হয় স্বপ্নের শেষ।
স্বপ্ন ছিল তোমায় নিয়ে
যাবো বহুত দূর।
যেখানে মিশে থাকে
আকাশ সমুদ্দুর।
ইচ্ছে ছিল সাক্ষী হবে
মটর ক্ষেতের আল,
মুঠো ভোরে তুলে দেব
কচি মটর ডাল।
এক নিমেষে সব স্বপ্ন
ভেঙে হলো শেষ।
একটা কথাই থেকে গেল,
বাবার আদেশ।
বললে তুমি, “হচ্ছে টা কি?
ভাবছো কি সব যা তা,
শেষে এ সব ভাবতে বসা,
এ তো কাপুরুষতা,
বললে আরও ভেবেই মরো
পুরুষ না কি হাতি,
মনে রেখো আমরা কিন্তু
সুভদ্রা র ই জাতি”
হরণ আমি করবো তোমায়,
সঠিক দিনে সঠিক সময়।
—চিরঞ্জীব চক্রবর্তী
ভুল ভেবেছি <- লেখকের আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুন।

Warning: Attempt to read property "roles" on bool in /home3/weavesdi/public_html/www.monomousumi.com/bengali/wp-content/themes/morenews/inc/template-functions.php on line 941