আমার মন-তরী
তরীটি নিয়েসুদূরে পাড়ি দিয়েচললাম বেয়ে বেয়ে বেয়ে।ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছন্দে ছন্দেতালে তালে তালেআমার নাও চলেহেলেদুলে।ওদের পানে চেয়ে চেয়েমম হিয়েউঠলো গেয়ে।বয়ে চলাসুখের সমীরণলাগিয়ে পালেউড়ছে ও পরানখুলে।উন্মুক্ত গগণতলেবন্ধনহীন চিত্তানন্দেআলোর বিকিরণজলের পরে নৃত্য করে।কল্লোলের কানে কানেওদের হৃদয়ের কথা বলা।আমার তরণীতে বাহু মম দাঁড় টানে।হাল ধরেশক্ত করে ( হাতে )।হঠাৎ এলো তুফান ধেয়ে।উথাল পাথাল সলিলেআমার নৌকটি বেসামাল।আমি ভাবি যদি বেঁচে যাই,দেখব আবার নব আগামীকাল।আয়ুর হিসেব কষবো জীবন-দলিলে।মনে শুধু এইটুকু আশাই।সময়ের দিকে রৈ চেয়েনিয়তির বিধান মেনে নিয়ে।না থেমে চলি এগিয়ে…***
মা-মেয়ের ডাকাডাকি
এক যুবতী ঢাকিনী।নন্দীদের পুজোয় ঢাক বাজায়।একদিন মনে মনে মনেবলে সে মাকে,মা গো আমি কি তোকেমন থেকে ডাকিনি?কত্ত কত্ত কত্ত জনেতোকে ফুলের মালায় সাজায়।আমি ক্যানে তোকেসাজ্জাতে পারি নি?আমি তো বোল তুলি ঢাকে-দুগ্গা মাঈয়া কী, জয়!বল দিকিনি মা!আমি কী ভক্তিভরেবাজ্জাতে পারি নি?ক্যানে আমি ঢুকতে পারি নিতোর ওই ঘরে?ক্যানে দাঁইড়ে থাকিশুধুই বাইরে, দূরে,আঙিনার পরে?তুই নোস হামার মাইয়া কী?কত্তোই না ভক্তির সুরেহামি বাজ্জাই হামার এই ঢাক ই!কত্তো মন থিকে ডাকিআমি তোরে!আমার ঢাক ইসদাই বোলে,জয় দুগ্গা মাইয়া কী!দ্যায় সারা আঙিনা তোর নামে ভরে।এবার তো তুই আমায় ডাক!আমি ঢুকে তোর ঘরেপেন্নাম করি ছুঁয়ে তোরে!শুনে মেয়ের কাতর ডাক,দুর্গা মা বাইরে এলেন, ঘর ছেড়ে।পরনে তাঁর শাড়ি, লাল পেরে।ঢাকিনীর হাত ধরেনিয়ে গেলেন আপন ঘরে।নিজের হাতে তুলে দিলেন ঢাকিনীর হাতে,একটি মালা।আর বললেন, আমায় পড়া!ওরে! আমি যে মা!আমি কী আর ভিন্ন দেখি নিচু জাতে?তোর অন্তর তো এক পূর্ণ ভক্তির ডালা!শুদ্ধ বিশ্বাসে গড়া।একটুও পাপ যে নেই তাতে।মা-মেয়ের ডাকাডাকি হল সম্পূর্ণ।পৈতের হল দর্প চূর্ণ।মা হল সকলেরই মা……
কলমে ©অঞ্জলি দে নন্দী
Warning: Attempt to read property "roles" on bool in /home3/weavesdi/public_html/www.monomousumi.com/bengali/wp-content/themes/morenews/inc/template-functions.php on line 941