“আসিফা’ও বিচার পাবেনা শেষে,
শুধু শুধু এই মোমবাতি মিছিল।
কামদুনিও সেদিন গুমরে উঠেছিল,
ভাঙতে পারিনি আমার বর্বরতার পাঁচিল।
দিল্লির মেয়েটাও তো বাড়ি ফিরছিল একা রাতের বেলা,
সভ্যতাকে থোরাই ডরাই!!
কেবলই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ডেলা।
জি.ডি.বিরলাও তো প্রশয় দিয়েছে আমায়,
খুলেয়াম ঘুরছি আমি রাস্তায়।
নতুন কোনো শিকার খুঁজছি,
সোনাগাছির চেয়েও সস্তায়।
আমাদের বেশ দাপট বাড়ছে,
ভোটে দাড়াবো ভাবছি;আসন্ন লোকসভায়।
আর ভোট না দিলে?
‘বাড়িতে ছেলে পাঠাবো’ নির্দ্বিধায়।
না না একটুও মজা করছি না …
একে বারে সত্যি বলছি , লিঙ্গ ছুঁয়ে!!
আমি সেই লিঙ্গধারী সভ্য সমাজের ফেস্টুন বুকে করা ধর্ষক।
তোমরা কি আমায় চিনতে পারোনি- তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ, সরকার, আদালত…;!!
নাকি এখনো কেবলই নির্বাক দর্শক??
জানি, তোমাদের দৌড় কতখানি;
কত্তো লম্বা আইনের হাত,
যে চোখ থাকতেও কালো কাপড় বেঁধে রাখে তাতে;
সেই অন্ধকারই তো আমার আলো, বর্বরতার রাতে।
তোমরা আমার কি বিচার করবে?
তোমরাতো প্রত্যেকেই ধর্ষণ করেছো …
জোর করে কতবার নিজের বউয়েরই ইজ্জত নিয়েছো।
তোমাদের সবার মধ্যেই আমি আছি, শুধু চিনে নেওয়া দরকার;
একদিন এ পৃথিবী আমাদের হবে, একটাই লিঙ্গ-একটাই সরকার।
কোনো যোনির যন্ত্রণার হাহাকার থাকবেনা সেদিন , উঠবেনা প্রতিবাদের হাঁক …
কেবলই বইবে বীর্যের নদী, বাজবে আমাদেরই জয়ঢাক।”
কবি : শান্তনু চ্যাট্টার্জ্জী, 21 বছর, দমদম মতিঝিল কলেজ।