একটু আগের নীল আকাশটা মুখ ভার করে,
কালো মেঘের চাদরে নিজেকে মুড়ে নিল –
উত্তরাপনের বুকে একটুকরো জলাশয়, আকাশের দিকে চেয়ে,
কিশোরীর মতো এখন একটু ভেজার অপেক্ষায়!
অনেকক্ষণ থেকে হাতছানি দিয়ে সে ডাকছে ভারাক্রান্ত এক হৃদয়কে;
রাস্তা পেরিয়ে এগিয়ে যায় মেয়েটি,
চুম্বকীয় আকর্ষনে, জলের স্পর্শে মনের সবটুকু উত্তাপ কে মুছে দেবে।।
তার মন আজ তার নামের মতোই সমার্থক হয়ে আছে, “রিক্তা”।
সেতো জলাশয়কে আগেও অনেকবার দেখেছে,
তবু এবার তাকে কেমন যেন খুব কাছের এক বন্ধু বলে মনে হচ্ছে –
এগিয়ে যায় সে,
জলাশয়ের বুকটা একবার স্পর্শ করতে চায়;
সেই শীতলতার স্পর্শে যে যদি দহনের জ্বালা থেকে মুক্তি পায়!
কয়েকদিন ধরে এক তীব্র “দহন – আলিঙ্গনে”
সে দিকহারা, বিহ্বল।।
আকাশের বুকে তখন একটুকরো কালো মেঘের চুম্বনে,
বৃষ্টির প্রস্রবণ নেমে আসছে মরুভূমির দিকে –
যেন নৃত্যরত ময়ূরীর পেখম, অভিবাদন করে যায়
একটু দুরে সবুজ শষ্যক্ষেত্রর তৃষার্ত আঙিনায় –
রিক্তার মনের আয়নায় তখন একটা আবছা কোন মুখ
জলাশয়ের বুকে দু ফোঁটা অশ্রুধারা মিশে যায়,
মেয়েটির মনে হয়, যেন তার সব ব্যথার মেঘ ওই অতলান্ত বুকে আশ্রয় নিল,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবার জন্য, রিক্ত নয় পূর্ণতার পথে।।
কলমে ডঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা
কবি – গীতিকার (আকাশবাণী) – সাহিত্যিক, ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বরেণ্য সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী,
শক্তি চট্টোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবীর আশীর্বাদ ধন্য হয়ে আজ দু দশকের বেশি সাহিত্যের সাধনায়।
প্রকাশিত বই ছটি,প্রকাশিতব্য দুটি। কবিতা, গল্প,উপন্যাস,নাটক, গান নিয়ে তাঁর সৃষ্টির সংসার।
ইন্দ্রানী সেন, শ্রীকান্ত আচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য শিল্পী তাঁর গানে কন্ঠদান করেছেন,
চলচ্চিত্রে, রেডিওতে। ভারত, বাংলাদেশ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া..নানা দেশে লেখা প্রকাশিত।